|
|
|
|
আলোয় ঘর সাজাতে গিয়ে মৃত্যু বালকের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নিজের ঘরে দীপাবলির আলো জ্বালাতে গিয়ে জীবনের আলোই নিভে গেল ১৪ বছরের এক বালকের। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার গোয়াবাগান স্ট্রিটে। পুলিশ জানিয়েছে,
|
শান্তনু সরকার |
মৃতের নাম শান্তনু সরকার ওরফে দুষ্টু। সে ক্যালকাটা জুবিলি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পড়শিরা জানিয়েছেন, কালীপুজো এগিয়ে আসতেই ঘর সাজানোর জন্য শান্তনু কয়েক দিন ধরে বাবার কাছে এলইডি আলোর চেন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল। বুধবার রাতে তার বাবা সুব্রত সরকার ছেলের জন্য এলইডি লাইটের চেন কিনে আনেন।
শান্তনুদের প্রতিবেশী শম্পা দাস বলেন, “ওর মা বাড়ির উঠোনে বসে জামাকাপড় কাচছিলেন। আমরা হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছেলেটা।”
পড়শিরা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পাড়ার ছেলেরাই ছুটে এসে মিটার ঘরের মেন সুইচ বন্ধ করেন। শান্তনুকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাড়ারই একটি নার্সিংহোমে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এর পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে শান্তনুর দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এলইডি আলোর চেন জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃৃষ্ট হয়েই এই বিপত্তি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, একটি দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে বাবা সুব্রত সরকার এবং মা ঝুমা সরকারের সঙ্গে থাকত শান্তনু। সে ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বৃহস্পতিবার দুপুরে শান্তনুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের বারান্দায় স্টোভে বসনো সকালের ভাতের হাঁড়ি একই রকম ভাবে বসানো। পাড়ার সকলে শান্তনুকে ডাকতেন দুষ্টু নামে। পড়শিরা জানান, পাড়ারই এক নাটকের দলে নিয়মিত অভিনয় করত শান্তনু। পড়াশোনাতেও ভাল ছিল সে। |
|
|
|
|
|