পুরভোটে ঝাড়গ্রাম
 
তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপত্তি
তথ্য গোপন করে পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী পার্থ ভট্টাচার্য পুরসভার ঠিকাদার বলে বুধবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এ ছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শিবেন্দ্র বিজয় মল্লদেবের বিরুদ্ধে শহরে একটি বাণিজ্যিক আবাসন থেকে সরকারি আর্থিক লভ্যাংশ প্রাপ্তির অভিযোগ করেছে বিজেপি। এদিনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রশান্তবাবু ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালতের তালিকাভুক্ত অস্থায়ী সরকারি কৌঁসুলি। কংগ্রেস সমর্থক আইনজীবী মহলের দাবি, প্রশান্তবাবু সরকারি সাম্মানিক পান। তাই তাঁর প্রার্থীপদ অবৈধ। বর্তমান ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্তবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, আইনের ওই বাধ্যবাধকতায় আমি পড়ছি না।” পার্থবাবু ও শিবেন্দ্রবিজয়বাবুও জানিয়েছেন, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই তিন প্রার্থীকে আজ, বৃহস্পতিবার উপযুক্ত নথিপত্র সমেত হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক এস অরুণ প্রসাদ।

বাতিল ৩টি মনোনয়ন
বুধবার ঝাড়গ্রাম পুরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির দিনে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির প্রার্থী দেবাশিস কর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী প্রবীর দত্তের মনোনয়নপত্র খারিজ হয়ে গেল। ২০০৮ সালে পুর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন দেবাশিসবাবু। কিন্তু সে বার তিনি নির্বাচন কমিশনে আয় ব্যয়ের হিসেব দাখিল করেননি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, দেবাশিসবাবু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন প্রবীর দত্ত। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা আনন্দমোহন পণ্ডা। নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দশ জন প্রস্তাবকের স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। প্রবীরবাবুর মনোনয়নপত্রে দশ জন প্রস্তাবকের স্বাক্ষর না থাকায় তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী আনন্দমোহন পণ্ডা ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনয়নপত্রটি উপযুক্ত সংখ্যক প্রস্তাবকের স্বাক্ষরের অভাবে বাতিল হয়ে যায়। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আনন্দমোহনবাবু।

দলের ভুলে নির্দল প্রার্থী
মাত্র একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা হলেন খোদ দলনেত্রী চুনিবালা হাঁসদার মেয়ে। অথচ দলের ভুলের নির্দল প্রার্থী হয়ে গেলেন বীরবাহা। রাজনৈতিক দলগুলিকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযোজনী-২ (অ্যানেক্সার টু) জমা দিতে হয়। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ওই দিনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বীরবাহা। কিন্তু বীরবাহাই যে দলের চিহ্নিত প্রার্থী তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়নি। ফলে, বুধবার মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির সময় বীরবাহাকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে গণ্য করলেন রিটার্নিং অফিসার। দলনেত্রী চুনিবালার সাফাই, “তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গিয়েছে। তবে তাতে কোনও সমস্যা হবে না। চেনা বামুনের আবার পৈতের কী দরকার!”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.