স্থায়ী মন্দিরে পাথরপ্রতিমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
নবনির্মিত স্থায়ী মন্দিরে বসবে জয়পুর থেকে আনা পাথরের প্রতিমা। থাকছে উত্তরাখন্ডে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের খন্ডচিত্রের থিম, প্রদর্শনী ও সঙ্গে নজরকাড়া আলোকসজ্জা। সব মিলিয়েই সুবর্ণজয়ন্তীর কালীপুজোয় এ আয়োজন করেছে কোচবিহারের ইয়ংস ইউনিট ক্লাব পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শহরের শিবেন্দ্র নারায়ণ রোডের গোয়ালাপট্টিমোড় লাগোয়া এলাকায় ওই স্থায়ী মন্দির তৈরি হয়েছে। এ বার কালীপুজোর সময় জয়পুর থেকে ওই আনা শ্যামা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রায় সাড়ে চার ফুট উচ্চতার ওই প্রতিমা তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। স্থায়ী মন্দির লাগোয়া মাঠে তৈরি হচ্ছে উত্তরাখন্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের খন্ডচিত্র। প্লাইউড, কাপড়, রং দিয়ে বিপর্যয়ের নানা দৃশ্য সেখানে ফুটে উঠবে। থাকছে চন্দন নগরের আলো। কমিটির সভাপতি ভূষণ সিংহ জানান, সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে খামতি রাখতে চাইছি না। পাথরের প্রতিমা আর উত্তরাখন্ডের দৃশ্য দর্শনে ভিড় উপচে পড়বে বলেই উদ্যোক্তাদের আশা। |
বিরোধী দল হতে চেয়ে চিঠি ২ দলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
কংগ্রেস প্রায় মাসখানেক আগে মালদহ জেলা পরিষদ দখল করলেও জেলা পরিষদের বিরোধী আসন বসা নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। ১২ জন সদস্য নিয়ে সিপিএম বিরোধী আসনের দাবি তুলে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসেরও ৬ সদস্য নিয়ে বিরোধ আসনের বসার দাবি তুলে জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক (এইও) অমলকান্তি রায় বলেন, “পঞ্চায়েত আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হবে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র যুক্তি দিয়েছেন, “সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি মিলে বামফ্রন্ট গড়ে একজোট হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করেছে। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের সময় বামফ্রন্ট ভেঙে সমাজবাদী পার্টি ও সিপিআইয়ের দুজন সদস্য কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। বামফ্রন্টের দুই শরিক জেলা পরিষদে শাসক দল কংগ্রেসের সঙ্গে একজোট হয়ে বোর্ড গড়েছেন। সুতরাং বামফ্রন্টের কোনও শরিকেরই বিরোধী আসনে বসার অধিকার নেই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “পঞ্চায়েত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে সভাধিপতি নিবার্চনে অংশগ্রহণ না করলেও বিরোধী আসন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।” |
শিশু ফেলে উধাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
প্রসবের ৪ ঘণ্টার মাথায় সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে ফেলে মা হাসপাতাল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী ভর্তি হন। হাসপাতালের নথিতে লেখানো হয়, মহিলার নাম রেজিনা বিবি। তাঁর স্বামীর নাম আবদুল মতিন। ইংরেজবাজার থানার পীরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকল গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ওই সদ্যোজাতের মা ভর্তির সময়ে যে ঠিকানায় দিয়েছিলেন, সেই বরকল গ্রামে গিয়ে ওই নামে কারও হদিস মেলেনি। পুলিশ শিশুটির পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছে। |
বারো বাংলাদেশির প্রাণ বাঁচিয়ে পুলিশে দিল বিএসএফ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসফের তাড়া খেয়ে ছুটছিল বাংলাদেশি পাচারকারী একটি দল। ছুটতে ছুটতে তারা ঝাঁপ দেয় পুকুরে। তাড়া করে সেখানে পৌঁছন জওয়ানেরাও। পুকুরটি ছিল পানা, ঘাসঝোপে ভর্তি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে পুকুরেই লুকিয়ে ছিল পাচারকারীরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সেখানে থাকতে গিয়ে পুকুরের ঘাসঝোপে জড়িয়ে তাদের প্রাণ বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। তা বুঝতে পেরে গ্রামবাসীদের ডেকে ১২ পাচারকারীর সকলকেই পুকুর থেকে উদ্ধার করেন জওয়ানেরা। রবিবার এই ঘটনা ঘটে হবিবপুরের পার্বতীডাঙ্গা গ্রামে। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই ১২ জনই বাংলাদেশের নাগরিক। শুধু প্রাণ বাঁচানোই নয়, জল থেকে তুলে ওই পাচারকারীদের হাতে নতুন পোশাকও দেন বিএসএফ জওয়ানেরা। তারপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হয় ৫১টি গরু। গ্রামবাসীদের ডেকে এনে যদি ওই পাচারকারীদের উদ্ধার করা না হত, সন্দেহভাজনদের মৃত্যু হতে পারত বলে বিএসএফের দাবি। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে তাদের ১৫ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। |