সব দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন দাখিল পর্বও মিটে গিয়েছে। কিন্তু যেখানে উপ-নির্বাচন সেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেই রাসমেলার আসর বসবে। নির্বাচনের ঝক্কি ও রাসমেলার ভিড় সামলানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। রাস মেলার সময় উপনির্বাচনের সূচি চূড়ান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কোচবিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। এতে তাঁরা প্রচার ব্যাহত হওয়া থেকে মেলার ভিড়ের সুযোগে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গোলমালের আশঙ্কা করছেন। কোচবিহারে সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা বলেন, “ভোট কেন্দ্র লাগোয়া রাস্তায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও জেলমোড়, পঞ্চরঙ্গী ও রবীন্দ্রভবন মোড়ে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পরিবর্তন করার ভাবনা নেই।” জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেছেন, “পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাসমেলা ও ভোট দুটি পর্বই শান্তিপূর্ণ সম্পন্ন করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ২২ নভেম্বর কোচবিহার পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন হবে। পুরভোটে আসনটিতে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন। রাসমেলা মাঠের কাছে ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজে দুটি বুথে ভোট হবে। কলেজ লাগোয়া দুটি রাস্তায় রাসমেলার দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। ১৬ নভেম্বর থেকে রাস শুরু হচ্ছে। এতে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের পরেও নির্বাচনের প্রচার থেকে ভিড়ের সুযোগে বুথ দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁরা প্রচার চালানোর অসুবিধার কথাও বলছেন। রাসমেলার আয়োজক কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বলেন, “রাসমেলার সময় উপ নির্বাচন না হলে ভাল হত। নির্বাচন কমিশনের সূচি মানতে হচ্ছে।” দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাসমেলার জন্য সকালের দিকে প্রচারে জোর দিতে চাইছি।” |