এ বার ভেষজ গাছের উদ্যান গড়বে রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভেষজ গাছের চাষে নামছে রাজ্য সরকার। তার জন্য বর্ধমানের ভাতারে ৫০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে সেখানেই প্রথম ভেষজ উদ্যান তৈরি হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রাজ্যে ভেষজ গাছের চাষ কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মমতা চান, রাজ্যের যে সমস্ত ভেষজ গাছের (কালমেঘ, হরিতকী, আমলকি, তুলসী, সিঙ্কোনা প্রভৃতি) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা রয়েছে, জেলায় জেলায় সেই সব গাছের চাষে উৎসাহ দিতে হবে। ঘনিষ্ট মহলে মমতা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কালমেঘ গাছ রফতানির বিপুল বরাত মিলেছে। ঠিক মতো চাষ হলে রাজ্য তা জোগান দিতে পারে। নবান্ন সূত্রের খবর, ভেষজ গাছের চাষ বাড়াতে ইতিমধ্যেই দু’টি কমিটি তৈরি হয়েছে। একটি কমিটির মাথায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যটির দায়িত্বে আছেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। সরকার চাইছে, ওষধি চাষ বাড়ানোর পাশাপাশি তার সংরক্ষণ এবং বিক্রির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে। তার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ছোট-বড় ভেষজ উদ্যান প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে বেসু ও যাদবপুরের কিছু অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট কয়েক জন কবিরাজকে পরামর্শদাতা হিসেবে রাখা হবে বলে এ দিন বৈঠক শেষে পার্থবাবু জানান।
|
রাজ্যের ন’টি জেলার ১ হাজার পঞ্চায়েতে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি খাতে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে আরও ১,২১১টি পঞ্চায়েতকে তারা অর্থ সাহায্যকরতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এ রাজ্যের অভিজ্ঞতা জানার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলে আগামী নভেম্বরে ওয়াশিংটনে গিয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি জানিয়ে আসব।” সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “আমরা চাইছি আর্সেনিক ও ফ্লোরাইডমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পেও ঋণ দিক বিশ্ব ব্যাঙ্ক।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন জেলার ১ হাজার পঞ্চায়েতকে বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ধারাবাহিক পর্যালোচনার পরে চলতি বছরে ৯৬০টি পঞ্চায়েত কাজের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ওই পঞ্চায়েতগুলির জন্য ২৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তাতে একটি পঞ্চায়েত গড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকা পেয়েছে। সর্বোচ্চ অনুদান পেয়েছে নদিয়ার দত্তফুলিয়া। তারা পেয়েছে ৭০ লক্ষ। এ বার ওই ন’টি জেলার আরও ৬৮৪টি পঞ্চায়েত ছাড়াও দুই ২৪ পরগনার ৩২০টি এবং হুগলির ২০৭টি পঞ্চায়েতকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকল্পের আওতায় এনেছে। সুব্রতবাবুর দাবি, অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এটা পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ সাফল্য। তিনি জানান, ১০০ দিনের কাজে গতি আনতে এ বার নিজেই জেলা সফরে যাবেন। সরাসরি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। বছরশেষে রাজ্যে ২৫ কোটি কর্মদিবস সৃষ্টি করাই দফতরের লক্ষ্য বলে এ দিন জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
|
দু’টি অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা ও হাওড়ায় দু’টি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল একটি চামড়া ও একটি পাটের ছাঁট বোঝাই কারখানা। মঙ্গলবার প্রথমটি ঘটে কলকাতার তিলজলা থানার চন্দ্রনাথ রোডে, পরেরটি হাওড়ার সালকিয়ায়। পুলিশ জানায়, এ দিন তিলজলায় একটি চামড়ার ব্যাগ তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। এক নিরাপত্তারক্ষী কারখানার ভিতর ধোঁয়া দেখে স্থানীয়দের ডাকেন। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। স্থানীয়েরা জানান, দোতলা ওই কারখানায় চামড়ার ব্যাগ তৈরি হত। |
আগুনের জেরে প্রচুর চামড়ার সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। সালকিয়ার তিনকড়ি নাথ বোস লেনে দুপুরে একটি বন্ধ পাটের ছাঁট বোঝাই কারখানায় আগুন লাগে। দমকল সূত্রে খবর, বন্ধ কারখানার পাশেই প্রায় আড়াইশো ঝুপড়ির একটি বস্তি। আগুন দ্রুত ছড়ানোয় বস্তির বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন গিয়ে এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই পুরো একতলা বাড়িটি পুড়ে যায়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
|
মইলির আর্জিকে আমল নয় রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে রাজ্যকে ফের চিঠি দিল কেন্দ্র। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির এই চিঠি মঙ্গলবার এসে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। মইলির প্রস্তাব, সপ্তাহে এক দিন অন্তত ‘বাস ডে’ হোক, অর্থাৎ গাড়ি ছেড়ে শুধু বাসে যাতায়াত করুন সাধারণ মানুষ। ওই দিনটি ‘বাস ডে’ হিসেবেই নির্দিষ্ট করুক রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তাঁর প্রস্তাব, অফিস-আদালত শুরু হোক আলাদা-আলাদা সময়ে। অর্থাৎ, কোনও অফিস শুরু হোক সকালে, তো কোনও অফিস একটু পরে। এতে এককালীন গাড়ির সংখ্যা কমবে। এর আগেও এই ধরনের প্রস্তাব পেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবকে অবাস্তব বলে কার্যত নস্যাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই চিঠিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় নবান্ন। সরকারের মনোভাব হল, কেন্দ্র নিজে আগে এটা করে দেখাক। যদিও মইলির চিঠির উত্তর এখনও রাজ্য দেয়নি বলেই সরকারি সূত্রের খবর।
|
ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির সূচনা সিঙ্গুরে |
ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল রাজ্যে। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গুরের নতুন বাজারে এক অনুষ্ঠানে এই কাজের সূচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গুর হল আন্দোলনের উৎসস্থল। তাই এখান থেকেই কর্মসূচি শুরু করলাম।” খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের ১১টি জোয় এই কার্ড দেওয়া হবে। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র দেবে ২৫.৩৩ কোটি টাকা। বাকিটা দেবে রাজ্য সরকার। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “যে কার্ড দেওয়া হবে, তা দিয়ে রাজ্যের যে কোনও রেশন দোকান থেকেই সামগ্রী কিনতে পারা যাবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডিজিটাল কার্ড প্রত্যেককে দিয়ে দেওয়া হবে। আর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই কার্ডের মাধ্যমে বণ্টন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।” মন্ত্রীর দাবি, এই প্রকল্প সফল হলে সরকারের প্রতি মাসে একশো কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে। |