চাহিদা মতো রান্নার গ্যাস না মেলার অভিযোগ রঘুনাথপুরে ছিলই। এ বার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহকারী এজেন্সির গুদামে অভিযান চালালেন মহকুমাশাসক। কয়েকটি দোকান থেকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গ্যাস ভরার অভিযোগে কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও আটক করা হল।
রঘুনাথপুর শহর ও লাগোয়া এলাকায় টানা দু’মাস ধরে রান্নার এলপিজি গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন গৃহস্থরা। দুর্গাপুজোর সময় সমস্যা চরমে ওঠে। তারপরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় বহু গ্রাহকই অভিযোগ জানান মহকুমাশাসকের কাছে। মঙ্গলবার তাই দুই ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে রঘুনাথপুর শহরের অদূরে রক্ষতপুর গ্রামে ওই গুদাম পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) সুরেন্দ্র কুমার মিনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২৬টি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির রসিদ মিলেছে, যাতে সিলিন্ডারগুলির ক্রেতাদের নাম উল্লেখ করা নেই। সেই গ্রাহকদের স্বাক্ষরও। এতে গ্যাসের কালোবাজারির সম্ভাবনা থাকে। মহকুমাশাসক বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল রঘুনাথপুর শহরে রান্নার গ্যাসের কালোবাজারি চলছে। তাই গ্যাস পরিবেশকের গুদামে ও কিছু দোকানে অভিযান চালানো হয়। আটক করা হয় কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও।” পরে ওই সিলিন্ডারগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক জানান, এ ব্যাপারে গ্যাসের পরিবেশককে শো-কজ করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এ দিন রঘুনাথপুর শহরের কয়েকটি দোকানেও অভিযান চালানো হয়। এক আধিকারিক জানান, ওই দোকানগুলিতে বড় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে বেনিয়ম ভাবে গ্যাস ভরা হয় বলে অভিযোগ এসেছে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জিগীষেন্দ্র সিংহ বলেন, “কিছু দোকানে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রির ঘটনাও দেখা গিয়েছে।” তবে ওই পরিবেশক সংস্থার তরফে জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “কর্মীদের ভুলে নথিপত্রে কিছু গোলমাল রয়েছে। গরমিলের অভিযোগ ঠিক নয়।” তিনি জানান, রঘুনাথপুর শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৬৫৬৮ জন গ্রাহককে তাঁরা গ্যাস সরবরাহ করেন। কিন্তু গত ২-৩ মাস ধরে তাঁরা দুর্গাপুর থেকে চাহিদা মতো গ্যাসের জোগান পাচ্ছেন না। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রাহকদের তা জানানোও হয়েছে। |