দূরশিক্ষায় বি.এড-র বিশেষ পাঠ্যক্রম পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কর্মরত শিক্ষকদের একাংশ। স্কুল চলার সময়ে ওই পাঠ্যক্রম করতে গিয়ে স্কুলে অনুপস্থিত হয়ে পড়ছেন শিক্ষকেরা। এই অবস্থায় শিক্ষকদের একাংশ পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেছেন, ওই কোর্স করার সময় তাঁদের স্কুলে কর্মরত হিসাবে ধরা হোক।
মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করার জন্য বি.এড আবশ্যক করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, আগে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের বেশির ভাগেরই বি.এড করা নেই। উচ্চ শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ছুটির সময়ে বিশেষ পাঠ্যক্রম করানো হবে ওই শিক্ষকদের। সেই মতো পুজোর ছুটিতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার শিক্ষককে বি.এড করাচ্ছে। কিন্তু, ৬ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলে পুজোর ছুটি রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও জেলার বহু স্কুলই ছুটির পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে ২১ অক্টোবর থেকে স্কুল শুরু করেছে। ও দিকে, বি.এড-এর পাঠ্যক্রম পাড়ানো হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ফলে, স্কুলে অনুপস্থিত হয়ে পড়ছেন জেলার প্রায় চারশো শিক্ষক-শিক্ষিকা।
সম্প্রতি শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা গণস্বাক্ষর করে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে তাঁদের সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছেন। স্কুলশিক্ষক শম্ভু মান্না, সুবল দে, সব্যসাচী রজক, পার্থ গরাইরা বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা বি.এড করছি। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সময় আমাদের কর্মরত অবস্থায় ধরতে রাজি হচ্ছেন না। এই অবস্থায় ‘ব্রেক অফ সার্ভিস’ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে, পরবর্তী সময়ে আমরা কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারি।”
‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’-র পুরুলিয়া জেলার সহ-সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের স্কুলে কর্মরত অবস্থা ধরতে বিশেষ নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন। আমাদের দাবি, উচ্চশিক্ষা সংসদও এমন নির্দেশিকা দিয়ে শিক্ষকদের সমস্যা মেটাতে উদ্যাগী হোক।” জেলা স্কুল পরিদর্শক রাধারানি মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর ছুটি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। কিছু জায়গায় ছুটির পুনর্বিন্যাস করে স্কুল খোলা হয়েছে। সেই স্বাধীনতা তাদের রয়েওছে। কিন্তু, তার ফলে দূরশিক্ষায় (ওএলডি মোড) বি.এড-এর প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের একাংশ সমস্যায় পড়েছেন। এই অবস্থায় কী করনীয়, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।” |