বাসন্তী
জমি পেলেও বিশ বাঁও জলে দমকল কেন্দ্র
ছর চারেক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কলতলা এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া প্রায় দু’ বিঘা জমিতে দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। জমি প্রস্তুত করতে মাটি ফেলার জন্য খরচ হয় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। কিন্তু এখনও গড়ে ওঠেনি প্রস্তাবিত দমকলকেন্দ্র।
ক্যানিং ও বাসন্তী মহকুমায় কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, সুন্দরবন এলাকায় ক্যানিং, বাসন্তী ও গোসাবা ব্লকে কোনও বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কাছাকাছি বারুইপুর দমকল কেন্দ্র থেকে গাড়ি আনতে হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগুনের ঘটনায় দমকলের গাড়ি এসে পৌঁছয় না। ফলে সব ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের মোকাবিলা কোনও পরিকাঠামোই এই তিনটি ব্লকে মজুত নেই।
রাজ্য দমকল দফতরের এক কর্তা বলেন, “বারুইপুর মহকুমার বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড়, কেএলসি (কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স), জয়নগর, কুলতলি থানা এলাকার জন্য দমকলের তিনটি গাড়ি রয়েছে। ওই তিনটি গাড়ি দিয়ে বারুইপুর মহকুমা আগুনের ঘটনার সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ক্যানিং ও বাসন্তী এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সব সময় গাড়িও পাওয়া যায় না।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাসন্তী ও ক্যানিং ব্লকে এখন একাধিক বাজার-দোকান-হাট তৈরি হয়েছে। ওই সব বাজার-দোকান-হাট ঘিরে অধিকাংশ এলাকাতেই ঘিঞ্জি জনবসতি গনে উঠেছে। মাঝে মধ্যে সে সব জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব থেকে কাছের দমকল কেন্দ্র বারুইপুর থেকে গাড়ি আসতে ঘন্টা খানেকের উপর সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর আগেই সব ভস্মীভূত হয়ে যায়।
বছর চারেক আগে সালাউদ্দিন সর্দার নামে এক চাষি বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া প্রায় দু’বিঘা জমি রাজ্য সরকারকে দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য দান করেন। রাস্তা থেকে জমি কিছুটা নিচু হওয়ায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যেমে ওই জমিতে মাটি ফেলে তা উঁচু করে দমকল কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। সালাউদ্দিন বলেন, “বছর ছয়েক আগে ক্যানিং বাজার এলাকায় আমার কয়েক জন আত্মীয়ের দোকানঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। যদি বাসন্তী বা ক্যানিং এলাকায় কোনও দমকল কেন্দ্র থাকত তা হলে হয়তো দোকানগুলো আগুনের হাত থেকে বাঁচত।” এর পরেই সালাউদ্দিন ঠিক করেন দমকল কেন্দ্রের জন্য জমি দান করবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে সালাউদ্দিনের কাছ থেকে দান হিসেবে জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার। দমকল কেন্দ্র তৈরির প্রাথমিক কাজও শুরু হয়। কিন্তু রাজ্যে পালা বদলের পর সেই কাজ এখন বিশ বাঁও জলে। যদিও দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই জায়গাতেই দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.