পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫ জনের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তিনটি পৃথক ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে নবদ্বীপে। সোমবার দুপুরে নৌকা থেকে খালি তেলের টিন গঙ্গায় পড়ে যায়। সেই টিন উদ্ধার করতে গিয়ে তলিয়ে যান নবদ্বীপের নারায়ণ পাল (৬০)। মঙ্গলবার সকালে নৌকা করে মায়াপুর যাওয়ার পথে রাজা দেবনাথ (৩৮) গঙ্গায় পড়ে তলিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে দুটি দেহের এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। এ দিন সকালে দেবেন সাহা লেনের বাসিন্দা ঋষি বসাকের (৭০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তিপুরের বাবলা বাইপাসের কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কৃষ্ণগঞ্জের দুর্গাপুরে অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক সাইকেল আরোহীর। পুলিশ মৃতের নাম শঙ্কর ঘোষ (৩০)।
|
ধুলিয়ানে ফের ভাঙন কংগ্রেসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেসে বড়সড় ফাটল ধরল মঙ্গলবার। দলের পূর্বতন ব্লক সভাপতি তপন সরকার ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি হাবিবুর রহমান তৃণমূলে যোগ দিলেন। তপনবাবু ও হাবিবুর রহমান দুজনেই সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন একসময়। এর আগে ধুলিয়ান পুরসভার ৯ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরের সকলেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ধুলিয়ান পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। তপনবাবু বলেন, “জেলায় আত্মসম্মান নিয়ে আর কাজ করা যাচ্ছে না। তাই দল ত্যাগে বাধ্য হলাম।” সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, “দু’জনের দলত্যাগে এলাকায় কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না।”
|
|
বাঁশের তৈরি প্রতিমা। ঘূর্ণিতে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি। |
|
অপহরণের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শান্তিপুরের বাসিন্দা সাহেব আলি নামের ওই যুবক পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর সকালে শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি মেয়েটি। শান্তিপুর থানায় সাহেব আলির নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। ছাত্রীটির বাবা বলেন, “ছেলেটি আমার মেয়েকে উত্যক্ত করত। ওই আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে।”
|
হোমগার্ডের পরীক্ষা দিতে গিয়ে মৃত্যু |
হোমগার্ডে নিয়োগের পরীক্ষা চলছিল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে অন্যদের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সুভাষ ওঁরাও (২৭) নামে বহরমপুরের মাদপুর গ্রামের এক যুবক। কিন্তু দৌড় শুরু হতে আচমকা মাঠের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন সুভাষ। মাঠেই হাজির থাকা চিকিৎসকরা তাঁর পরীক্ষা করেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে পাঠানো মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মারা গিয়েছেন সুভাষ। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভ্র রবীন্দ্রনাথ বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই যুবক শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি। কিছুটা দৌড়েই পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।” চার ভাইবোনের মধ্যে সুভাষ বাড়ির বড় ছেলে। বহরমপুরের নিমতলা মোড়ের কাছে একটি মুড়ি কারখানায় তিনি কাজ করতেন। |