|
|
|
|
থানার উঠোন জলে থইথই, দুর্ভোগ ঘাটালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল
|
চারদিকে জল। এমনকী জল ঢুকে পড়েছে থানার উঠোনেও। জল ক্রমশ বাড়ছে দেখে ফাইল-পত্র গোছাতে ব্যাস্ত পুলিশকর্মীরা। ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির এমনই অবস্থা।
চলতি মরসুমে ঘাটালে যত বার (পাঁচ) বন্যা হয়েছে, তার মধ্যে এবারেই জল সবচেয়ে বেশি উঠেছে। এমনকী ঘাটালের মতো খড়ার পুরসভাতেও বেশ কিছু ওয়ার্ড জলের তলায়। ঘাটালের বরদা-চৌকান থেকে খড়ার, সুলতানপুর প্রভৃতি জায়গায় জল জমে যাওয়ায় রাস্তাগুলিতে যান চলাচল বন্ধ। ঘাটাল শহরের পোস্তাবাজার, হাঁড়িবাজার, কালীতলা বাজারেও জল ঢুকেছে। এক কথায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘাটালের বাসিন্দাদের তাই বন্যা নিয়ে কথা বলতেও যেন অনীহা! ঘাটালের চাউলির ষাটোর্ধ্ব অভিরাম সানকি বলেন, “আমি সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি বন্যায় বাড়ি ভাঙছে। ভেসে গিয়েছে সাধের টিভি, রেডিও, বাড়ির আসবাব। প্রতিবারই শুনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে, এই হচ্ছে, ওই হচ্ছে। কিছুই তো আর হয় না।” ঘাটাল শহরের শুকচন্দপুরের বাসিন্দা শশধর সামন্ত বলেন, “বন্যায় জল পেরিয়ে, নৌকায় চেপে যাতায়াতে আমরা তবু অভ্যস্ত। কিন্তু বাড়ির ভিতর জল ঢুকে গেলে খুব ভোগান্তি হয়।” |
জল জমেছে ঘাটাল থানা চত্বরে।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, রূপনারায়ণ দিয়ে জল বেরতে পারছে না বলে জলের স্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ডের প্রায় সব এলাকাতেই এ বারে জল উঠে গিয়েছে। সোমবার থেকে শহরের একাধিক এলাকাতে বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের সমস্য দেখা দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি। পুরসভা রাতেও খোলা রয়েছে। যেখানে জলের পাম্প চালানো যাচ্ছে না, সেখানে নৌকায় করে পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘাটাল ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত-সহ দাসপুর-১ ব্লকের তিনটি এবং চন্দ্রকোনা-১ ও ২ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম জলের তলায়। মহকুমাশাসক অদীপ রায় বলেন, “রূপনারায়ণে চাপ থাকায় ঘাটাল থেকে জল কমতে সময় লাগবে। প্লাবিত এলাকায় চাল-পানীয় জল, ত্রিপল নৌকায় করে বিলি করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|