|
|
|
|
জট কাটল বৈঠকে |
স্কুল তৈরির কাজে বাধা দখলদারদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক
|
স্কুলের নতুন ভবন তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার কাজে গিয়ে জমির দখলদারদের একাংশের বাধার মুখে পড়লেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। পরে অবশ্য সবপক্ষকে নিয়ে এক বৈঠকের পর কাজ শুরু হয়। বাধার কথা স্বীকার করে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) সুমন হাওলাদার বলেন, “কিছু মানুষ না বুঝেই এ দিন বাধা দেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে কাজ করা গিয়েছে। আজ, বুধবারও কাজ চলবে।”
পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া এলাকায় আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য ২০০৮ সালে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দফতর পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদর্শ আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় তৈরির জন্য প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। স্থানীয় রাতুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ নিয়ে ২০০৮ সালে ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু হলেও এখনও নিজস্ব বিদ্যালয় ভবন গড়ে ওঠেনি। আবাসিক ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও হস্টেল তৈরির জন্য রাতুলিয়া-মেদিনীপুর মৌজায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দক্ষিণ পাশে সরকারি প্রায় সাড়ে ১৫ একর জমির মধ্যে ৮.৪৫ একর জমি চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয় কিছু পাট্টা প্রাপক ও দখলদারদের একাংশ ওই জমিতে বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ায় সিপিআই। অথচ, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসনের তরফে এক বৈঠকে ওই পাট্টাপ্রাপক ও দখলদাররা ওই জমির একাংশ ছেড়ে দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর বিষয়ে মত দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার জেলা পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ের জন্য চিহ্নিত জমিতে মাটি পরীক্ষার কাজে গেলে স্থানীয় সিপিআই নেতা শুধাংশু আদকের নেতৃত্বে ওই পাট্টা প্রাপক ও দখলদারদের একাংশ কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। শুধাংশুবাবু বলেন, “বিদ্যালয়ের জন্য যে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে তা নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। আমরা বলেছি বিদ্যালয় গড়ার জন্য যে জায়গা চিহ্নিত হয়েছে তার কিছুটা পরিবর্তন করে ওই জমির পাশে বিদ্যালয় গড়া হোক।” জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য জানান, বিদ্যালয়ের জন্য চিহ্নিত জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আসল ব্যাপার হল, বিদ্যালয়ের জন্য চিহ্নিত জমিটি ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দক্ষিণ ধারে। সেই জমিটি পাট্টা প্রাপক ও দখলদাররা নিতে চাইছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারি ওই জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে চাষ করে আসছেন তাঁরা। কিছু লোকের পাট্টাও আছে। তাঁরা জানান, প্রয়োজনে আবাসিক বিদ্যালয়ের জায়গার পরিবর্তন করতে হবে। গোটা ঘটনায় এ দিন ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁশকুড়া বিডিও অফিসে বৈঠক হয়। ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) সুমন হাওলাদার, বিডিও অরুণাভ পাল, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায়, ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রমুখ। সেখানে ঠিক হয় বিদ্যালয়ের জন্য যে ৮.৪৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁর মধ্যে ৩ একর জমি ছেড়ে রেখে বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করা হবে। তারপরই সমাধান সূত্র বের হয়, কাজও শুরু হয়। |
|
|
|
|
|