|
|
|
|
হাসপাতালে মোচ্ছব, রাতে হানা এসডিও-র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
উনুন জ্বালিয়ে চলছে রান্না। সঙ্গে নেশার এলাহি আয়োজন। তাতে আর পাঁচ জন ‘বহিরাগত’র সঙ্গে সামিল হয়েছে ‘ঘরের লোকও’। জমে উঠেছে মোচ্ছব।
গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে, পরিস্থিতি সরোজমিনে দেখতে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের সামনে চলে গেলেন কাঁথির মহকুমাশাসক সরিত্ ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গী দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। রাত দশটার পর ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা দেখলেন, মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শুধু উনুন জ্বালিয়ে প্রীতিভোজের আয়োজন নয়, মদ্যপ অবস্থায় কিছু ব্যক্তি অবাধে হাসপাতালের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বেআইনি গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্সের অবৈধ পার্কিংয়ের ঠেলায় গোটা হাসপাতাল চত্বর প্রায় বেদখল। নেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মহকুমাশাসকের কথায়, “হাসপাতালে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি।”
কোথায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? ঘটনার জবাবদিহি চেয়ে মহকুমাশাসক হাসপাতাল সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তীর খোঁজ করে ওয়ার্ড মাস্টারের কাছ থেকে জানতে পারেন তিনি হাসপাতালে নেই, রয়েছেন প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়িতে। ক্ষুব্ধ মহকুমাশাসক তখনই তাঁকে আনতে গাড়ি পাঠান। হাসপাতালে এলে জানতে চান কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল?
ঘটনার দায় কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের চালকের উপর চাপিয়ে, হাসপাতালের কর্মীদের আড়াল করে সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের চালক সোমবার রাতের অভব্যতার জন্য দায়ী। হাসপাতালের কর্মীরা কোনও ভাবেই যুক্ত নন।” তিনি দাবি করেন, “হাসপাতালে অবৈধ ভাবে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করছে কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। বিষয়টি রোগী কল্যাণ সমিতি, পুলিশকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।” মঙ্গলবার এই ঘটনায় বেসরকারি সংস্থার দুই অ্যাম্বুল্যান্স চালক বক্তিয়ার ও হাসিবুল-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। |
|
|
|
|
|