|
|
|
|
বোনের টেডি বিয়ারে লাথি মেরেই
ফ্রি কিকের জাদুকর বেকস
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পেনিট্রেটিভ জোনে ‘ফ্রি কিক’। বিপক্ষের রক্তচাপ বাড়াতে এই দুটো শব্দই যথেষ্ট। ডেভিড বেকহ্যাম বলে একজন আছেন যে! ডেড বলে জাদু দেখানোর কায়দাটা যার বাঁ হাতের, থুড়ি ডান পায়ের খেল।
প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকার ফ্রি কিক থেকে গোল করার দাপটে দু’দশকে বিশ্বখ্যাত গোলকিপাররাও কম নাকাল হননি। গ্ল্যামার, ফ্যাশন, স্টাইল স্টেটমেন্টের সঙ্গে বেকহ্যামের বাঁকানো শটের মোহাবিষ্ট সমর্থককুলও তাই কম নয়। কিন্তু ফুটবলের গণ্ডি ছাড়িয়ে রুপোলি পর্দা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন বেকস যে ক্ষমতার জোরে তার পিছনে রহস্য কী? অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিকগুলো কী ভাবে আয়ত্ত করেছিলেন প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা?
রহস্যটা এত দিন পর ফাঁস করলেন বেকস স্বয়ং। বোনের টেডি বিয়ারে শট মেরে মেরেই নাকি আত্মস্থ করেছেন এই বিশেষ ক্ষমতা। ইংল্যান্ড মিডিয়ায় এমনটাই বলেছেন বেকহ্যাম। “বোধহয় লাখখানেক ফ্রি কিক নিয়েছি। বাড়ির পাশের পার্কে চলে যেতাম প্র্যাকটিস করতে। মাঠে বলটা রাখতাম আর দূরের একটা বাড়ির জানালায় রাখা তারের জালকে নিশানা করে শট মারতাম,” বলেন তিনি। সঙ্গে আরও যোগ করেন, “বাবা যখন বাড়িতে ফিরতেন দু’জনেই মাঠে চলে যেতাম। বাবা গোলপোস্ট আর আমার মাঝে দাঁড়িয়ে বলটাকে বাঁকিয়ে জালে জড়াতে বাধ্য করতেন। আশ-পাশের সবাই ভাবত আমরা পাগল। সূর্য ডুবে গিয়ে পার্কের পাশের বাড়িগুলোর আলো জ্বলে উঠত। আমরা প্র্যাকটিস করেই যেতাম।” |
|
বাড়িতে ফিরেও শেষ হত না প্র্যাকটিসের পালা। কিন্তু ঘরে ফুটবল আনায় মানা থাকত। বোনের টেডি বিয়ারগুলোই তখন তাই বেকসের ফুটবল হয়ে উঠত। “বোনের বেডরুমে টেডি বিয়ারে প্র্যাকটিস করতাম। মা খুব মজা পেত। সঙ্গে ফুটবল খেলাটা আমি কত ভালবাসি সেটাও বুঝত।”
ভাগ্যিস টেডি বিয়ারগুলো ছিল! না হলে ক্লাব ফুটবলে ম্যান ইউয়ের হয়ে অসাধারণ গোলগুলো তো বটেই, ২০০২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে খেলাই হয়তো হত না। গ্রিসের বিরুদ্ধে বেকসের ঐতিহাসিক গোলটাই ইংল্যান্ডকে মূলপর্বে তুলেছিল যে। |
|
|
|
|
|