|
|
|
|
ইডেন পিচ নিয়ে হঠাৎ নাটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৃষ্টির পর ইডেনে এ বার পিচ বিতর্ক তাড়া করছে সিএবি-কে। আগামী ৬ নভেম্বর ইডেনের কোন পিচে জীবনের ১৯৯তম টেস্ট খেলবেন সচিন তেন্ডুলকর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় যদিও বলছেন, “যে পিচে বাংলা-বরোদা রঞ্জি ম্যাচ হচ্ছে, সেই পিচেই হবে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। কারণ ঐতিহাসিক ওই ম্যাচের আগে পিচ দেখে নেওয়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েই রঞ্জি ম্যাচ ইডেনে নিয়ে এসেছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইডেনের পিচ কিউরেটর।”
আর তালটা কেটেছে এখানেই। আউটফিল্ড এবং পিচ খেলার উপযুক্ত না হওয়ায় মঙ্গলবার বাংলা-বরোদা রঞ্জি ম্যাচের তৃতীয় দিনও শেষ হল একটিও বল না খেলে। বুধবার চতুর্থ দিন আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শনের পর ঠিক করবেন খেলা কখন শুরু করবেন। কিন্তু পিচ কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায় এ দিন সংবাদমাধ্যমকে বলে যান, “সচিনের ১৯৯তম টেস্টের পিচ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এত কম সময়ে সামাল দেওয়া যেত না। তাই ওই পিচে রঞ্জি ম্যাচ করাইনি।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যে কথা বোর্ডকে বলে সিএবি প্রেসিডেন্ট রঞ্জি ম্যাচ ইডেনে নিয়ে এলেন তা কি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা গেল না? বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা করতে নারাজ সিএবি কর্তারা। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছেন, “বোর্ডের পিচ কমিটির সদস্য শহরে রয়েছেন। তাঁকে সব পরিস্থিতি জানানো আছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে আমরা এর বেশি কিছু বলতে চাই না।” তা হলে পিচ কিউরেটর কেন এ কথা বলছেন? সিএবি কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিকে, আসন পিছু পনেরো টাকা করে বিনোদন কর চেয়ে দিন কয়েক আগেই যে চিঠি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা এ দিন তার জবাব দিয়েছে সিএবি। পুরসভা সুত্রের খবর, সিএবির যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডেন সেনাবাহিনীর আওতার মধ্যে। সুতরাং পুরসভা বিনোদন কর চাইতে পারে না। পুরসভার বিনোদন কর বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম। তিনি সিএবি-র পাঠানো জবাবের প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, “সিএবির চিঠি পেয়ে তা আমাদের লিগাল সেলের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা সিএবি-র বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।”
যদিও সিএবি আশাবাদী, বিনোদন কর নিয়ে সমস্যা হবে না। রাতে সুবীরবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “পুরসভা অতীতে সিএবি-র কাছ থেকে বিনোদন কর নেয়নি। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের টিকিটের দামও সাধারণের আয়ত্বের মধ্যে রাখা হয়েছে। যদি পুরসভা এই কর চাপায় তা হলে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের ওপর চাপবে এই কর। আশা করি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবে পুরসভা।” |
|
|
|
|
|