|
|
|
|
|
ধোনিদের আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াই |
মাঝের ওভারে বেইলিদের আটকাতে মিশ্রকে আনো
রবি শাস্ত্রী |
|
শেষ দু’টো ম্যাচে পৌঁছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ান ডে সিরিজটাকে একটা নতুন সিরিজের মতো দেখাচ্ছে। রাঁচি আর কটক কেন্দ্র দু’টো চোখের পলকে পেরিয়ে গেল। বৃষ্টি দু’টো শহরকেই ধুয়ে দেওয়ায়। যা নাগপুর ম্যাচের প্রাক্কালে ভারতের জন্য খুব কঠিন তথ্য রাখছে যে, ধোনিরা সিরিজে ১-২ পিছিয়ে। এবং ঘরের মাঠে সিরিজ হারার হিসেবের মধ্যে অবস্থান করছে। বাকি দু’টো ম্যাচের একটা হারলেই সিরিজ গেল!
এক মাসের মধ্যে ভারতের ওয়ান ডে ক্রিকেটের ছবিটায় ধাক্কা লেগেছে। মিডল অর্ডারে কয়েক জন ব্যাটসম্যান সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারেনি। দলের প্রধান স্পিনারকে নড়বড়ে দেখিয়েছে। এর সঙ্গে একদিনের ক্রিকেটের নতুন নিয়ম ভারতীয় দলকে আরও কুঁকড়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় বুধবারের ম্যাচে ভারতের কী কর্তব্য? পরীক্ষিতদের উপরই ভরসা রাখা? না, রিজার্ভ বেঞ্চকে চেষ্টা করা?
রাঁচিতে একমাত্র হতে পারা অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে জয়দেব উনাদকট আর মহম্মদ সামির পারফরম্যান্সের কথা ভাবলে মনে হয়, পরের রাস্তাটাই নাগপুরে নেওয়া উচিত টিম ম্যানেজমেন্টের। বেঞ্চে ব্যাটসম্যান না হয় একজনই রয়েছে অম্বাতি রায়াডু। কিন্তু অমিত মিশ্রের ব্যাপারটা ধৈর্যের চরম পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং মাঝের ওভারগুলোতে ছোটখাটো সমস্যায় পড়েছে। ওপেনারদের সাফল্যের জন্য ওদের ব্যাটিংকে শক্তিশালী দেখাচ্ছে। কিন্তু ওপেনাররা যখন ব্যর্থ, যেমন রাঁচিতে ঘটেছে, তখনও ওরা তিনশোর কাছাকাছি রানে পৌঁছেছে। সাফ কথা, ভারতের জঘন্য বোলিংই অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়েও গভীরতা এনে দিয়েছে। শেষ দু’টো ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দরকার ওই মাঝের ওভারগুলোতেই ধাক্কা মারা। এই সিরিজে এখনও যেটা হয়নি। কারণ, রবি অশ্বিন নিজের ছন্দে নেই। ১৫ থেকে ৩৫ ওভারের ভেতর বিপক্ষের দু’টো-তিনটে উইকেট তুলতে পারলে ভারতকে অনেক তীক্ষ্ম দেখাবে।
এবং এ ব্যাপারে মিশ্র একজন আক্রমণাত্মক লেগ স্পিনার। আইপিএলে খুব ভাল করেছিল। ওর একদিনের বোলিং রেকর্ডও ভাল। ব্যাট হাতেও ও একেবারে এলেবেলে নয়। অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে মিশ্র একটা নতুন ফ্যাক্টর হয়ে উঠতেই পারে। অশ্বিনকে বর্তমানে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে খেলছে।
ভারতীয় ক্রিকেট আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে অজানা নয়। শেন ওয়াটসন এ বছরের প্রায় অর্ধেকটা এ দেশেই কাটিয়ে দিয়েছে। ওরা চমৎকার একটা তরুণ দল। যোগ্য নেতা রয়েছে টিমে। পরের বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়া দারুণ ভাবে তৈরি হচ্ছে। |
|
|
|
|
|