|
|
|
|
|
ধোনিদের আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াই |
মশলা আছে, সামিকে ধারাবাহিক হতে হবে
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় |
|
পরপর দু’টো ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও সিরিজটা কিন্তু আকর্ষণীয় জায়গায় পৌঁছেছে। এখান থেকে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার যে কেউ যুদ্ধটা জিততে পারে। খাতায়-কলমে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২-১। কিন্তু প্রতিটা ম্যাচেই একে অপরকে এমন জবরদস্ত টক্কর দিয়েছে যে, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কোনও একটা দলকে এগিয়ে রাখা সম্ভব নয়। অস্ট্রেলিয়ার কয়েক জন ক্রিকেটারকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মাতামাতি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আমার মতে, ভারতের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা এখনও উজ্জ্বল।
বুধবার অবশ্য নাগপুরে ভারতীয় বোলারদের কাজটা সহজ নয়। সিরিজে এখনও যে ক’টা উইকেটে খেলা হয়েছে, প্রত্যেকটাই ব্যাটসম্যানের স্বর্গ। নাগপুরেও ব্যাপারটা অন্য রকম হবে না। ওখানকার যা ইতিহাস, তাতে এখনই বলে দেওয়া যায়, ব্যাটসম্যানরাই দাপাবে। হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে। আর ফের প্রবল চাপে থাকবে বোলাররা। যাদের জন্য একমাত্র আশার আলো নাগপুর মাঠের লম্বা বাউন্ডারি। বিশেষ করে সাইড-বাউন্ডারিগুলো।
রাঁচিতে বাংলার মহম্মদ সামি দারুণ বোলিং করেছিল। চাইব, দলের স্বার্থে আজ আবার একটা নজরকাড়া পারফরম্যান্স করুক। সামির নিজের জন্যও সেটা জরুরি। ও যথেষ্ট সম্ভাবনাময় মিডিয়াম পেসার। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে ভাল করার মতো মশলা রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় দলে নিজের জায়গা মজবুত করতে হলে ওকে সিরিজের বাকি দু’টো ম্যাচেও ভাল বল করতে হবে। ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক হতে হবে।
|
নাগপুরের নেটে সামি। |
দু’টো টিমের কম্পোজিশন দেখার পর ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় যে, নাগপুরে দু’দলই প্রথম এগারোয় বেশি পরিবর্তন ঘটানোর রাস্তায় হাঁটবে না। অস্ট্রেলিয়া দল নির্বাচনে বেশি ধারাবাহিক। কারণ, ওদের ক্রিকেটাররা এই মুহূর্তে ভাল ফর্মে। অন্য দিকে, ভারত রাঁচিতে যে পরিবর্তনগুলো করেছিল, তাতে দলের ভারসাম্য ঠিকঠাক হয়েছে। তবে ভুবনেশ্বরের শেষ সাত-আটটা ম্যাচে পারফরম্যান্স বিচার করে বলছি, সিরিজের শেষ দু’ম্যাচে ও বড় ভূমিকা নিতে পারে।
ব্যক্তিগত ভাবে, শেষ দু’ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের একতরফা ছড়ি ঘোরানো দেখার বদলে আশা করব ব্যাট-বলের লড়াইটা কিছুটা হলেও জমবে। সিরিজে ভারতীয় বোলারদের তীব্র সমালোচনা হজম করতে হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওরা মার খেয়েছে একেবারে পাটা উইকেটে। তার উপর ওয়ান ডে-র নতুন নিয়মে তিরিশ গজের বৃত্তের ভিতর সারাক্ষণ পাঁচ জন ফিল্ডার আর দু’প্রান্ত থেকে দু’টো নতুন বল নিয়ে খেলতে হচ্ছে। ফলে বোলারদের কাজ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেও সামি, ভুবনেশ্বরদের মাঠে নেমে একটা জিনিস মনে রাখা দরকার। সাম্প্রতিক কালে ভারতীয় বোলিংয়ের আসল শক্তি বলকে সঠিক লাইন-লেংথে পিচ করানো, আর সুইং। অযথা শর্ট বল করার চেষ্টা নয়।
নাগপুরেই অস্ট্রেলিয়া চাইবে ৩-১ করে সিরিজ পকেটে পুরতে। কিন্তু কাজটা সহজ হবে না। গত কয়েক মাসে ভারতের এক দিনের ম্যাচে রেকর্ড দুরন্ত। বিশেষ করে দলটা যখনই চাপের মুখে পড়েছে, অবিশ্বাস্য ভাবে জ্বলে উঠেছে। সেটা ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল হোক বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ান ডে সিরিজ। আজও ধোনির দল সেই লড়াকু মেজাজটা বের করে আনুক। |
|
|
|
|
|