|
|
|
|
সিপিএম ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বে থমকে নলকূপ বসানোর কাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রাজনৈতিক কোন্দলে থমকে গিয়েছে নলকূপ বসানোর কাজ। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ খড়্গপুর ২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গারামপুরের শালিকা গ্রামের বাসিন্দারা। মাস দেড়েক আগে আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল এলাকায়। তখনই ঠিক হয়েছিল, পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য গ্রামে নলকূপ বসাবে পঞ্চায়েত সমিতি। ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই নলকূপ বসানোর কথা। তবে দুর্গাপুজোর আগে থেকেই সিপিএম-তৃণমূল চাপানউতোরে কাজ থমকে রয়েছে।
চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা কমলা পণ্ডিতও সিপিএমের টিকিটেই জিতেছেন। তবে পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল পরিচালিত। তাদের উদ্যোগে শালিকা গ্রামে নলকূপ বসানো হচ্ছে বলে সিপিএম বাধা দিচ্ছে, এমনই অভিযোগ। সিপিএমের দাবি, ওই এলাকার ২৬৮ দাগের মাঝামাঝি অংশে নলকূপ বসানো হোক। তাতে দু’টি পাড়া উপকৃত হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় পুজোর সময় থেকে গণ্ডগোল চলছে। গ্রামবাসী জগন্নাথ মণ্ডল, সুবল সিংহের কথায়, “আমাদের এখানে জলকষ্ট রয়েছে। পুকুরের জল পান করে আন্ত্রিক হয়েছিল। আমরা চাই যখন নলকূপ বরাদ্দ হয়েছে, তখন তা দ্রুত বসানো হোক। কিন্তু গণ্ডগোলে কাজ আটকে রয়েছে।”
সম্প্রতি একটি অশান্তির প্রেক্ষিতে সিপিএম-তৃণমূল দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত হন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান চন্দন চক্রবর্তী-সহ ১৬ জন। সিপিএমের তরফেও তৃণমূল নেতা পরশুরাম পণ্ডিত, অসিত করণ-সহ ১৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পরশুরামবাবুর অভিযোগ, “আমরা চাই যেখানে নলকূপ নেই, সেখানে বসানো হোক। কিন্তু সিপিএম উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে।” সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান চন্দনবাবুর বক্তব্য, “দলের কর্মীরা চেয়েছিলেন আলোচনা করে নলকূপ বসানো হোক। কিন্তু তা না করে একজনের বাড়িতে নলকূপ বসানোয় আমরা আপত্তি জানিয়েছি।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সাবিয়া আকতারির অবশ্য দাবি, “পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই জায়গা বাছা হয়েছিল।” গ্রামবাসীরা চান দ্রুত অশান্তি মিটুক। শুরু হোক কাজ।
|
|
|
|
|
|