পুরভোটে মেদিনীপুর
মনোনয়নের শেষবেলায় সঙ্কট,
সিপিএমের তালিকায় রদবদল
গে সরে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিপিআই প্রার্থী। বার ভোটের ময়দান ছাড়লেন এক সিপিএম প্রার্থী। তাও শেষবেলায়। মেদিনীপুরের মতো শহরে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সিপিএমের মেদিনীপুর শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “অন্য কোনও কারণ নেই। আগে যাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তিনি অসুস্থ। তাই দলের অন্য এক সহকর্মীকে প্রার্থী করা হয়েছে।” একটি ওয়ার্ডে আবার সিপিএমের প্রার্থীই নেই। নিয়েও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, ওই ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবে সিপিএম। কেন ওখানে প্রার্থী দেওয়া হল না? কীর্তিবাবু বলেন, “যা বলার বুধবার বলব।”
আগামী ২২ নভেম্বর মেদিনীপুর পুরসভার নির্বাচন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। দুর্গাপুজোর আগে প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বামফ্রন্টই। কিন্তু ক্রমে বোঝা যায় তারা ঠিকমতো ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি। আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে বার ওয়ার্ড সংখ্যা হয়েছে ২৫। ফ্রন্ট প্রথমে ১৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। তখন ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআই প্রার্থী হিসেবে বরুণবিকাশ দে - নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তিনি সরে দাঁড়ান। ফ্রন্ট -শিবির দাবি করে, ঘোষিত প্রার্থীকে ভয় দেখানো হয়েছে। তৃণমূল -শিবির জানায়, এ সব অপপ্রচার।

মনোনয়ন দিচ্ছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
২৩ অক্টোবর ওই ওয়ার্ডে সিপিআই প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণকুমার ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে আরও জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। শুধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানায় সিপিএম। কিন্তু, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও এই ওয়ার্ডে দলের হয়ে কেউ মনোনয়ন দাখিল করেননি। মনোনয়ন দাখিল করেছেন বিদায়ী কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ। কৃষ্ণাদেবীর স্বামী সুভাষময় ঘোষ প্রাক্তন উপ -পুরপ্রধান। কৃষ্ণাদেবী জিতেছিলেন নির্দল হিসেবে। দলীয় সূত্রে খবর, সিপিএমের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চেয়েছিল কৃষ্ণাদেবীকে সমর্থন করতে। অন্য অংশের দাবি ছিল, এই ওয়ার্ডে দলের প্রতীকে অন্য প্রার্থী দাঁড় করাতে হবে। কারণ, কৃষ্ণাদেবী পুরসভার একটি মামলায় অভিযুক্ত। কিছু দিন জেলেও ছিলেন। শেষমেশ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের দাবি মেনে কৃষ্ণাদেবীকে নির্দল হিসেবে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা সিপিএম। তাঁদের দাবি, কৃষ্ণাদেবীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
কৃষ্ণাদেবী অবশ্য বলছেন, “কারও সমর্থন দরকার নেই। আমি একাই ঠিক আছি। জনগণ আমার সঙ্গে আছেন।” তবে, নির্দল প্রার্থীকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জিত সরকার বলেন, “১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্রন্টের অন্য প্রার্থী থাকবে কেন? উনিই (কৃষ্ণাদেবী ) তো ফ্রন্টের প্রার্থী ! এলাকার মানুষ সব জানেন।”
দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে শ্যামল দত্তের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষবেলায় এই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী হিসেবে সঞ্জীত সাউয়ের নাম ঘোষণা হয়েছে। দিন তিনি মনোনয়ন দাখিল করেন। সিপিএম সূত্রের দাবি, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার কয়েকদিন পর শ্যামলবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি এখনও শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থিপদে রদবদল করা ছাড়া অন্য পথ ছিল না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.