হাতি ঢুকলে বনদফতর তাদের ফের ঝাড়খণ্ড সীমানায় তাড়িয়ে দিলেই সমস্যা কমে যায়। কিন্তু এ বার অন্তত তেমনটা হয়নি বলেই বলছেন পড়শি রাজ্যের সীমানা ঘেঁষা রাজনগরের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সিদ্ধেশ্বরী নদীর এক দিকে থাকা পটলপুর, গোয়াবাগান, কুড়ুলমেটিয়া এবং অন্য দিকে থাকা রুহিদা, হিরাপুর, জয়পুর-সহ বিভিন্ন গ্রামে হাতিরা ঢুকে প্রায় প্রতি বছর ফসল নষ্ট করে। ২-৩ দিন থাকার পর বনকর্মী ও হুলা পার্টির তাড়া খেয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। কিন্তু পুজোর আগে থেকে ঢুকে পড়া বেশ কয়েকটি হাতি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পটলপুর ও কুড়ুলমেটিয়া জঙ্গলের ভেতরে অবস্থান করছে এবং রাতে বা ভোরে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ধান জমিতে নেমে ফসল খেয়ে ফের জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে। কখনও নদী পেরিয়ে রুহিদা, হিরাপুরেও চলে আসে। গোয়াবাগানের অশোক ঘোষ, বিপিন ঘোষ, পটলপুরের অজিত ঘোষ, কুড়ুমেটিয়ার সুন্দর সরেন এবং রুহিদার নন্দদুলাল চৌধুরীরা জানান, ফসল নষ্ট করাই নয়, রাতে গ্রামে হাতি ঢোকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পুজোর আগে থেকেই রাজনগর এলাকার মধ্যে হাতিরা থেকে গেলেও, সেগুলিকে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠাতে বনকর্মীরা যতটা ততপর থাকে এ বার সেটা নজরে পড়ছে না। জেলা বনাধিকারিক সন্তোষা জি আর অবশ্য অভিযোগ মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “অন্য বারের তুলনায় হাতিদের এলাকায় থেকে যাওয়ার সমস্যা একটু বেশি। স্থানীয় কিছু যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে লাগানো আছে। হাতি তাড়ানোর কাজটা তাঁরাই করে থাকেন। এ বারও করছেন। রাজনগরের রেঞ্জারকেও এলাকার মানুষের সঙ্গে অলোচনা করতে বলেছি। দ্রুত সমস্যা মিটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
|