কলকাতা পুর এলাকার দোতলা ও তিনতলা বাড়ির ছোটোখাটো কাঠামো বদলে আর পুরসভার অনুমতি লাগবে না। সম্প্রতি পুর প্রশাসনকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দোতলা বাড়ির ক্ষেত্রে মোট ফ্লোর এরিয়ার ১৫ শতাংশ এবং তিনতলা বাড়ির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রদবদল করতে পারবেন বাড়ির মালিকেরা। কিন্তু ওই ছাড়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী। পুর সূত্রের খবর, ওই ছাড়ের পরিমাণ ২৫ ও ১৫ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।
আর এই নির্দেশের পর বিষয়টি ফের পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে তোলা হবে বলে মঙ্গলবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আগের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। যে পরিমাণ ছাড়ের কথা হয়েছিল তা আরও একটু বাড়াতে হবে।” পুর সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আগামী মাস থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চায় পুর প্রশাসন। পুরসভার এক অফিসারের কথায়, নতুন এই নিয়মের বিষয়টি শহরের সমস্ত থানা ও পুর কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমান পুর আইন অনুযায়ী পরিবারের প্রয়োজনে কোনও বাড়িতে একটি বাড়তি শৌচাগার বা রান্নাঘর করতে হলে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। ছাদে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি করতে হলেও পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে ছুটতে হয়। তার পর অনুমতি নিয়ে চলে টালবাহনা। পুর অন্দর মহলের জল্পনা, সামান্য ওই কাঠামো বানাতে কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুলিশ ও পুর অফিসারদের ‘সন্তুষ্ট’ করতে হয়। অন্যথা হলেই বন্ধ করা হয় নির্মাণের কাজ।
মহাকরণ সূত্রের খবর, এ সব ক্ষেত্রে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ ওঠে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ওই সব অভিযোগ পত্র মহাকরণ থেকে সরাসরি পাঠানো হয়েছে পুরসভায়। তাতেও তেমন কোনও সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে পুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই ওই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তৎপর হন তিনি। |