নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞার জেরে রাজ্যের চারটি জেলার সীমানায় প্রায় ১৫০টি ট্রাক আটকে গিয়েছে। এর ফলে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কায় সরকারের দ্বারস্থ হলেন আলু ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আটক আলু এই রাজ্যের মানুষ খান না। প্রতি বছরই ভিন রাজ্যে পাঠানো হয় ওইসব আলু। কিন্তু পুলিশ ভিন রাজ্যে যাওয়ার পথে ওইসব ট্রাক আটকে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। সরকার দ্রুত আলুর ট্রাকগুলি না ছাড়লে পচে যাবে। ওইসব আলু সরকারি নিষেধাজ্ঞার আগেই ট্রাক বোঝাই করা হয়।
রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য বলেন,“আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি একটি আবেদন করতে। কারণ আলু পচে যাওয়া আমাদেরও অভিপ্রেত নয়। কৃষি সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বিবেচনার জন্য। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই কিন্তু রাজ্য সরকার ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।” |
আরামবাগে যুব তৃণমূলের তরফে মঙ্গলবার ১২ টাকা কিলোগ্রাম দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করা হল।
হাসপাতাল মোড়ে শিবির করে। এক জনকে সর্বোচ্চ ৫ কিলোগ্রাম আলু বিক্রি করা হয়েছে। ছবি: মোহন দাস। |
সম্প্রতি ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর রাজ্য সরকার বিধি আরোপ করে। এর ফলে বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং অসম সীমানায় প্রায় দেড়শো ট্রাক আলু পুলিশ আটকে দেয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, আটকে দেওয়া আলুর মধ্যে মূলত পোফরাজ এবং কে-বাইক প্রজাতির আলু রয়েছে। ওইসব আলু এই রাজ্যের মানুষ সাধারাণত খেতে অভ্যস্ত নন। সেইজন্যই ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে প্রতি বছরই নিয়ম করে ওইসব আলু ব্যবসায়ীরা পাঠিয়ে থাকেন।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সরকারি স্তরে বিষয়টি সবাই জানেন। সেইজন্যই চলতি বছরেও ওইসব আলু ভিন রাজ্যের পাঠানোার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। এরপর ট্রাক বোঝাই করে ওইসব আলু ভিন রাজ্যে পাঠতে গিয়েই বিপত্তি দেখা দেয়। রাজ্যের মূলত চার জেলা এবং অসম সীমানায় আটকে দেওয়া হয় ওইসব ট্রাক। জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করেও কোনও সুরাহা পাননি তাঁর। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তাঁরা কৃষি বিপণন মন্ত্রী এবং কৃষি সচিবের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য নেতা স্বপন সামন্ত বলেন,“সরকারি স্তরে রাজ্যের প্রতিটি সীমানায় আগে থেকেই বিষয়টি জানিয়ে দিলে বিপত্তি হত না। কিন্তু সরকারি স্তরে বিষয়টি না জানানোয় সব আলুর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে পোখরাজ এবং কে-বাইক আলুকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি।”
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন,“আবেদনের ভিত্তিতে ওইসব ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে।” |