নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
পুকুরঘাটের পাশের রাস্তা কাঁটাতার দিয়ে আটকে দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসী। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের উপরে বোমাবাজি শুরু করে এক দুষ্কৃতী। পরে গ্রামবাসীই ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে দিলেন। মঙ্গলবার সকালে মুরারইয়ের কামারখুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ঘটনায় ওই গ্রামের বাসিন্দা বাদাম শেখ ও তার দুই ছেলে আজাদ ও মেজাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৯৫টি বোমা ও একটি ধারাল অস্ত্র। পাশাপাশি বাদামের বাড়ির ভেতরে গাঁজা চাষের সন্ধান পেয়ে পুলিশ সেগুলিও উপড়ে দিয়েছে।
এ দিন সকালে গ্রামের দক্ষিণপাড়ার ওই রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন গ্রামেরই দুই বাসিন্দা সেলাল শেখ, মুলুন শেখ। তাঁরা বলেন, “পুকুরঘাটের কাছে পৌঁছতে দেখি রাস্তায় কাঁটা বিছানো। তা সরাতে গেলে বাদামরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। আমরা প্রতিবাদ করলে ওরা বোমাবাজি শুরু করে। আমরা পালিয়ে এসে গ্রামের সবাইকে খবর দিই।” পরে গ্রামবাসীরা বাদামের বাড়ি ঘিরে ফেললে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দা, তথা জাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রহিম মোল্লার দাবি, “বাদাম গ্রামের এক প্রভাবশালী সিপিএম নেতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।” পরে পুলিশ গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে বাদামকে ধরে ফেলে। এ দিকে স্থানীয় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, বাদাম শেখ ফরওয়ার্ড ব্লক করে। ফব-র রাজ্য কমিটির সদস্য তথা দলের মুরারই লোকাল সম্পাদক আব্দুল হান্নান যদিও বলেন, “বাদাম আমাদের দলেরও কেউ নন।” গ্রামের ওই সিপিএম নেতা আবার বাদামকে দলীয় সমর্থক বলে মেনে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, “আমার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ছিল। কিন্তু বাদাম তো আমার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়নি। আমার নামে সম্পূর্ম মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” অন্য দিকে, এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, বেআইনি বোমা মজুত, এলাকায় বোমাবাজি, বেআইনি গাঁজা চাষে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে ওই বিপুল পরিমাণ বোমা একটি বাড়িতে মজুত ছিল পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। |