মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এনএসএ-র নজরদারি নিয়ে ঘরে-বাইরে ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়ে এ বার মিত্র দেশের প্রধানদের ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ওবামা প্রশাসন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আমেরিকার মিত্র দেশের নেতাদের ফোনে আড়িপাতা বা ইন্টারনেটে নজরদারি বন্ধ করতে শীঘ্রই নির্দেশ দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সেনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রধান ডায়ান ফেনস্টেন ইতিমধ্যে বলেও দিয়েছেন, “বন্ধু দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীদের ফোনে আড়িপাতা বা ই মেলে নজরদারি চালানো উচিত নয়।” তাই এখন তড়িঘড়ি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে চাইছে সেনেটের ওই কমিটি। ফেনস্টেনের দাবি, এ ধরনের নজরদারি বন্ধ করা হবে বলে হোয়াইট হাউসের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসনের অনেক অফিসার এখনও দাবি করছেন, নজরদারি নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না।
এনএসএ-র প্রাক্তন কর্মী সংস্থার তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার পর থেকে নজরদারি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মার্কিন গোয়েন্দাদের নজর থেকে বাদ যায়নি ফ্রান্স, জার্মানি বা স্পেনের মতো দেশও। যে কারণে প্রত্যেক দেশেই সেখানকার মার্কিন দূতকে তলব করে মার্কিন নজরদারির ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা। গত কালই এই সূত্রে শিরোনামে এসেছে স্পেনের নাম। তাই সব মিলিয়ে যথেষ্ট চাপে এনএসএ। দীর্ঘকাল ধরে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের উপরে, তা সে রাষ্ট্রনেতা হোন বা সাধারণ মানুষ, কার্যত অবাধে নজরদারি চালিয়ে এসেছে এই সংস্থা। সেখানে যদি সত্যিই কিছু দেশের উপরে নজরদারি একেবারে থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর হয়, তা হবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হান্স পিটার ফ্রেডরিখ বলেছেন, “আমেরিকা বুঝতে পেরেছে তাদের নীতি আখেরে তাদেরই ক্ষতি করছে। প্রেসিডেন্ট আর সেনেটের প্রতিক্রিয়ায় সেটাই স্পষ্ট।” আঙ্গেলার উপরে মার্কিন নজরদারি নিয়ে জার্মানি যথেষ্ট বিরক্ত। ১৮ নভেম্বর পার্লামেন্টের অধিবেশন। বিরোধীদের দাবি, তদন্তের স্বার্থে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনকে সেই অধিবেশনে ডেকে পাঠানো হোক।
কিন্তু আমেরিকার বন্ধু দেশের তালিকায় কাদের রাখা হবে, তা নিয়েও বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
|
ইউরোপে ঝড়ে মৃত বেড়ে ১৩
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন |
হ্যারিকেনের মতো গতিসম্পন্ন ঝড়ের তাণ্ডবে গত এক দিনে ইউরোপে মোট ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে, গাছ আর বাড়ি চাপা পড়ে। এর মধ্যে ব্রিটেনে পাঁচ, নেদারল্যান্ডস আর ডেনমার্কে এক জন করে এবং জার্মানিতে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। ফ্রান্সে এক জন জলে ভেসে গিয়েছেন। আবহাওয়া দফতর একে হ্যারিকেন না বললেও অনেকটা হ্যারিকেনেরই মতো শক্তিসম্পন্ন ছিল এই ঝড় যার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট জুড। রেল লাইনের উপর গাছ উপরে, কোথাও বা জল জমে বিভিন্ন এলাকায় ট্রেন চলাচল বাতিল করতে হয়েছে। ব্রিটেন আর জার্মানিতে বাতিল হয়েছে বহু বিমান। ঝড়ের জেরে নানা আবর্জনা জমে গিয়ে দক্ষিণ ব্রিটেনের কেন্ট-এ একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি চুল্লিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চুল্লি দু’টিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ব্রিটেনে এখনও ২ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন। |