তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড তুলে দেওয়ার পরে এক মাস পরীক্ষামূলক ভাবে শহরের দু’প্রান্তের বাসস্ট্যান্ড দুটি ব্যবহার করা হবে, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানালেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন ও এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পুরসভার নবনিযুক্ত পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত ও কাউন্সিলর খোকন দাস। জেলাশাসক বলেন,“৬ নভেম্বর থেকে কোনও বাসই আর শহরের কেন্দ্রে তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ঢুকতে পারবে না। ৭ নভেম্বর থেকে শহরের দুই প্রান্তের ব্যাসস্ট্যান্ডদু’টি ব্যবহার করতে হবে বাস মালিকদের।”
বর্ধমানের পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ মেমারি, আরামবাগ ইত্যাদি জায়গায় যাতায়াতকারী বাসের জন্য ব্যবহার করতে হবে নবাবহাটের উত্তরা বাসস্ট্যান্ড। আর শহরের পশ্চিম দিকে দুর্গাপুর, আসানসোলমুখী বাসগুলি ব্যবহার করবে আলিশা মৌজায় অবস্থিত পূর্বাশা বাসস্ট্যান্ড। তবে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে বর্ধমানের ৯টি জায়গায় দাঁড়াতে হবে বাসগুলিকে। এই ৯টি স্টপেজ হলো, নবাবহাট, গোলাপবাগ, রাজকলেজ মোড়, পার্কাস রোড, বাদামতলা, সমবায় ব্যাঙ্ক, বীরহাটা, পুলিশ লাইন ও আলিশা। জেলাশাসক বলেন, “জেলায় বিভিন্ন রুটে মোট সাড়ে ৭০০ বাস চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ বাসের স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির পারমিট আছে। এই বাসগুলি শহরের ভেতরে ঢুকবে না। ফলে যানজট কমবে শহরে।”
|
জেলা পরিবহণ আধিকারিক আশিস সাহা বলেন, “সব পক্ষের সম্মতিতে বর্ধমানে এই দু’টি বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। যানজট কমাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ৫৬টি টাউন সার্ভিস মিনিবাস চলে শহরে। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০তে নিয়ে যাওয়া হবে। শাটল সার্ভিস দিতে বলা হবে সেগুলিকে।” এসপি জানান, যানজট রুখতে সাহায্য নেওয়া হবে সিভিক পুলিশেরও।
তবে এ দিনের বৈঠকে জেলা বাসমালিক সমিতির কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। পরে যোগাযোগ করা হলে জেলা বাসমালিক সমিতির সহ -সম্পাদক তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘পূর্বের বাস পশ্চিমে আর পশ্চিমের বাস পূর্বে যাবে, এটা আমরা মেনে নিয়েছি। ফলে ওই বাসস্ট্যান্ড দু’টি ব্যবহার নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রশাসন থেকে রাজ্য পরিবহণ মন্ত্রী, সকলকেই একথা জানিয়ে দিয়েছি।”
২০০৭ সালে ভোটের আগে নবাবহাটের বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধন করেছিলেন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে আলিশা মৌজার বাসস্ট্যান্ডটির উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। কিন্তু বাস মালিকেরা সে দু’টি ব্যবহার করতে রাজি না হওয়ায় এতদিন তা পড়েই ছিল। তবে এ বার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চালু হতে চলেছে ওই স্ট্যান্ডদু’টি। জেলাশাসক বলেন, “বাসস্ট্যান্ড দু’টি এ বার চালু হবেই। আরও আগেই চালু করা যেত, কিন্তু মাঝে উৎসবের কারণে তা একটু পিছিয়ে গিয়েছে। ১ নভেম্বরের বদলে তা চালু হচ্ছে ৭ নভেম্বর থেকে।” |