দুই ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিল কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি পুরসভার ১১ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিলেন। সোমবার তৃণমূলের তরফে অবশ্য কেবল ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নান্টু পাল মনোনয়ন জমা করতে পেরেছেন। নথি অসম্পূর্ণ থাকার জন্য ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী জনা বাগচী অবশ্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। অন্য দিকে কংগ্রেসের তরফে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী সৌরভ ভট্টাচার্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী পিউ ভট্টাচার্য। পিউদেবী গৃহবধূ। মহিলা কংগ্রেস দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন বলে জানানো হয়। সৌরভবাবু ব্যবসায়ী। নান্টুবাবু কংগ্রেসে থাকার সময় সৌরভবাবু তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। আজ, মঙ্গলবার বেলা ৩ টা পর্যন্ত মনোনয়ন জনা করার শেষ সময়। ২২ নভেম্বর নির্বাচন হবে ওই দুটি ওয়ার্ডে।
এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হীরক রায়ের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কংগ্রেসের তরফে দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। তৃণমূলের তরফে কেবল ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেন। ইতিমধ্যেই সিপিএমের তরফে ওই দুটি ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ দিন তৃণমূলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যান বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল, দুলাল দত্ত, অলক ভক্তরা। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তারা মিছিল করে কোর্টে আসেন। কংগ্রেসের তরফেও মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান প্রার্থীরা। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, কাউন্সিলর সুজয় ঘটক, সীমা সাহা, রুমা নাথ-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ এ দিন প্রার্থীদের সঙ্গে যান।
নান্টুবাবু দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর। গত পুর নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তিনি কাউন্সিলর হন ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর গত বছর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কলকাতার তৃণমূল-ভবনে গিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। তা নিয়ে মামলাও শুরু হয়। যদিও সম্প্রতি নান্টুবাবু কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার পরেই ওই আসনে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অন্য দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গত পুর নির্বাচনে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন তৃণমূলের চৈতালি সেনশর্মা। তবে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের কাজকর্মে এবং দাপটে বিরক্ত হয়ে তিনি ইস্তফা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। নান্টু পাল বা অন্যান্য প্রার্থীরা সকলেই অবশ্য নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান। |