সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরা নিয়ে অভিযোগ পৌঁছচ্ছে এ বার খোদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছেও। অভিযোগ পেয়ে সোমবার জেলা সদরে পূর্ত দফতরে হানা দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। পরিদর্শনের পরে সভাধিপতি বলেন, “আমি সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ রাঁচি রোডে অবস্থিত পূর্ত দফতরে পৌঁছেই দেখি তখনও পর্যন্ত মাত্র তিন জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দফতরে এসে পৌঁছেছেন। আমি তাঁদের কাছে জানতে চাই, অন্য কেউ দফতরে রয়েছেন কি না। তাঁরা জানান, তখনও কেবল তাঁরাই এসেছেন।” এর পরেই সৃষ্টিধরবাবু দফতর থেকে হাজিরা খাতা তুলে এনে জেলাশাসকের কাছে জমা দেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ জেলাশাসকই করবেন।
ওই দফতরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বাদে সাত জন কর্মী রয়েছেন। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “ওই দফতরের আধিকারিকের কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানতে চাইব।” বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পূর্ত দফতরে রিপোর্ট পাঠাবেন বলেও জেলাশাসক জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাযর্নিবাহী বাস্তুকার গৌতম রায়ের দাবি, “এ দিন আমি কাজের জন্য বাইরে রয়েছি। ফলে কী হয়েছে, জানি না।” তবে অনেক সময়ই দফতরের কাজে তাঁকে এবং কোনও কোনও কর্মীকে বাইরে থাকার প্রয়োজন হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। যদিও সভাধিপতির ক্ষোভ, “সকাল ১০টা থেকে অফিস। কেন ১০টা ৫০-এও বেশির ভাগ কর্মীকে পাওয়া যাবে না!” |