বিষ্ণুপুরে লালগড় প্রকৃতি উদ্যান দেখতে যাওয়ার মোরাম রাস্তায় কজওয়ের উপরে টানা ২৪ ঘণ্টা ফেঁসে রইল একটি ট্যুরিস্ট বাস। ফলে, রবিবার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনও গাড়িই ওই উদ্যান অবধি পৌঁছতে পারেনি। এই গোটা সময়ে পর্যটকদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি স্থানীয় প্রশাসনও। হতাশ পর্যটকদের ক্ষোভ, “বিষ্ণুপুর এত নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। তার পরেও এখানে এই অবস্থা! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করল না?” যে বাসের চাকা ফেঁসেছিল রবিবার, সেটিতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ৩২ জন পর্যটক ছিলেন। উদ্যানের পাশে একটি রিসর্টে ঢোকার মুখে বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে বাসটির পিছনের চাকা বসে যায়। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রীরা উদ্বিগ্ন হয়ে বসে। পর্যটক অবনী ঘোষ, অমিয় ঘোষ বলেন, “ঘোরাঘুরি লাটে উঠেছে। রাতে হেঁটে রিসর্টে গিয়ে উঠেছি। ফিরব কী করে জানি না। প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতেও আসেনি। বাধ্য হয়ে স্থানীয় মানুষের সাহায্যে ক্রেন ভাড়া করতে হয়েছে নিজেদেরই। আমরাই বালির বস্তা কিনে এনেছি।” শেষ পর্যন্ত দুপুর ১টা নাগাদ যাত্রী ও কর্মীদের চেষ্টায় বাসটিকে তোলা সম্ভব হয়। এই রাস্তাটি মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। পঞ্চায়েত প্রধান সাগর সাউ বলেন, “নাগাড়ে বৃষ্টিতে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সংস্কার করব। ওই অবস্থায় ট্যুরিস্ট বাস নিয়ে ওই পথে যাওয়া ঠিক হয়নি।” যাত্রীদের পাল্টা বক্তব্য, রাস্তা খারাপ থাকলে ‘নো-এন্ট্রি’ বোর্ড ঝোলানো উচিত ছিল পঞ্চায়েতের। বিডিও (বিষ্ণূপুর) প্রশান্তকুমার মাহাতো বলেন, “বাসটি কেন এতক্ষণ আটকে রইল খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |