অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মজুত খাদ্যশস্যের হিসাবে গরমিল থাকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। পরে বিডিও-র হস্তক্ষেপে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার পরে দুপুর ১২টা নাগাদ ছাড়া পান ওই কর্মী ও সহায়িকা। বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের পিড়রা গ্রামের বাঁধডি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে এলাকার গর্ভবতী মহিলা ও শিশু সমেত ৩৩ জন খাবার পান। গ্রামবাসী ভীমসেন মাহাতো, কৃষ্ণপদ মাহাতোদের অভিযোগ, “অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাছে মজুত মালের হিসাব চাওয়া হয়েছিল। ওই কর্মী মজুত চাল, ডাল, তেলের হিসাব ঠিকঠাক দিয়েছেন। কিন্তু, মসুর ডাল প্রায় ৩৫ কেজি কম রয়েছে। এটা কেন হয়েছে, তা জানার জন্যই ওঁদের আটকে রাখা হয়েছিল।” খবর পেয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস। তিনি বলেন, “ওই কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা গ্রামবাসীর সামনেই হিসাবে গরমিলের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন। এ জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন। ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিককে অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির কর্মী বন্যা চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “কেন্দ্রের সমস্ত মাল সহায়িকার বাড়িতে মজুত থাকে। মসুর ডাল যে মজুতের থেকে কিছু পরিমাণে কম রয়েছে, তা গ্রামের মানুষ আগেই জেনেছেন। তা ছাড়া, যাঁরা মাল সরবরাহ করেন, তাঁরা তো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওজন দেখিয়ে দেন না। এক্ষেত্রে আমাদের কোনও দোষ নেই।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, গ্রামেরই কিছু মানুষ এই ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তাঁকে হেনস্থা করছেন। চুরির বদনাম দিয়ে আর্থিক জরিমানার হুমকিও দিয়েছেন। এ দিনও আটকে রেখে তাঁকে ও সহায়িকাকে নানা ভাবে অপমান করা হয় বলেও বন্যাদেবীর অভিযোগ। গ্রামবাসীদের তরফে অবশ্য জরিমানার হুমকি বা হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সহায়িকা অঞ্জুমা বিবির সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। |