আবেদন করার পরেও ডাকঘর কর্তৃপক্ষ একশো দিনের কাজে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট না খোলায় কাজ মিলছে না—এই অভিযোগ তুলে পোস্টমাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি কাশীপুর ব্লকের মণিহারা পঞ্চায়েতের পারবেদিয়া ডাকঘরের। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘেরাও চলে। কাশীপুরের যুগ্ম-বিডিও হরিপদ মান্ডি ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ওই এলাকার পারবেদিয়া, মুনতোড়, তুলবেড়িয়া, আগরাবাইদ, কেতনকেয়ারি গ্রামের প্রায় সাড়ে বারোশো শ্রমিকের জবকার্ড থাকলেও ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট তৈরি না হওয়ায় এলাকায় একশো দিনের প্রকল্পে কাজ এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে গণেশ বাউরি, বৈদ্যনাথ মাজি, নাজির আনসারিরা বলেন, “দীর্ঘদিন আগে ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছিলাম। গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের আবেদন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত কাজ দিতেও তৈরি। কিন্তু, অ্যাকাউন্ট না থাকায় কাজ পাচ্ছি না।”
স্থানীয় মণিহারা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শুভঙ্কর মাহাতোও বলেন, “বর্তমানে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাঁদের কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। আগে কিছু কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু, অ্যাকাউন্ট না থাকায় মজুরি দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকেও ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে বারবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য বারবার বলা হয়েছে। তবু তারা কাজে গড়িমসি করছে।”
সোমবার শতাধিক শ্রমিক ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বগলাকান্ত মাহাতোকে ঘেরাও করেন। পোস্টমাস্টার জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা সাড়ে পাঁচশো শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এখনও সাতশো অ্যাকউন্ট খোলার কাজ বাকি রয়েছে। তাঁর দাবি, “ডাকঘরে পরিকাঠামো ও কর্মীর অভাব থাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে দেরি হচ্ছে।” ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, “অ্যাকউন্ট না থাকলে একশো দিনের কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে রাজ্য সরকার একশো দিনের কাজে আরও গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ওই ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনে বিকল্প কর্মী দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোনও সাড়া মেলেনি।” কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল বলেন, “এ দিন ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ওঁরা ১০ নভেম্বরের মধ্যে বাকি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলা হবে বলে জানিয়েছেন।” |