না জানিয়ে ছুটি, যুগ্ম-বিডিওকে শো-কজ নয়াগ্রামে
বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে ব্লকে যখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে টানা কয়েকদিন অনুস্থিত থাকায় ‘শো-কজ’ করা হল নয়াগ্রামের যুগ্ম-বিডিও চিরঞ্জিত রায়কে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারির নির্দেশে ওই যুগ্ম-বিডিওকে ‘শো-কজ’ করেছেন নয়াগ্রামের বিডিও তাপস ভট্টাচার্য। চিঠি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাঁকে। জবাব দেখে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনিক তদন্তও হতে পারে।
কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। আমলাদের একাধিক বার এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুণ্ণ হওয়ায় কয়েকজনকে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে। নয়াগ্রামের ঘটনা প্রমাণ করল, প্রশাসনের এই কড়া মনোভাব শুধু শীর্ষ স্তরেই সীমাবদ্ধ নয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ নয়াগ্রাম ব্লক প্রশাসন। বিডিও তাপসবাবু শুধু বলেন, “এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। এ নিয়ে মন্তব্য করব না।” যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই চিরঞ্জিতবাবুর বক্তব্য, “তেমন কিছু নয়। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চিরঞ্জিতবাবু ২১ অক্টোবর কাজে যোগ দেন। ২২ অক্টোবর তাঁকে ‘শো-কজ’ করেন বিডিও। চিঠিতে জানানো হয়, যে কাজ তিনি করেছেন, তা যুগ্ম- বিডিও পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের কাছে প্রত্যাশিত নয়। এটা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’র পরিচয়। অতিবৃষ্টি এবং জলাধার থেকে প্রচুর জল ছাড়ায় দুর্গাপুজোর সময় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে ২৬টিতেই কমবেশি দুর্যোগের প্রভাব পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোপীবল্লভপুর ১ এবং ২, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, কেশিয়াড়ি, দাঁতন ১, মোহনপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে গোপীবল্লভপুর পরিদর্শনে যান। সাংসদ মুকুল নয়াগ্রাম ও কেশিয়াড়ি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাঁতন, দাসপুর ও ঘাটালের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এমন পরিস্থিতিতেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে টানা অনুপস্থিত ছিলেন চিরঞ্জিতবাবু। ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর, বিডিও তাঁকে বারবার ফোন করেছেন, এসএমএস পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। অথচ মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের নির্দেশ ছিল, আধিকারিকদের নিজ নিজ হেড কোয়ার্টারে থাকতে হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চিরঞ্জিতবাবু না জানিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন, বিষয়টি নজরে আসার পরই তাঁকে ‘শো-কজ’ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তারপরই ওই যুগ্ম-বিডিওকে শো-কজের চিঠি (মেমো নম্বর-১৮২২) পাঠান বিডিও।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.