|
|
|
|
কোচবিহারে হাজার বিঘা আমনের ক্ষতি ঝড়ে |
টানা বৃষ্টি আর ধসে বিচ্ছিন্ন গ্যাংটক-ছাঙ্গু |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
টানা বৃষ্টিতেই এমনিতেই সিকিমের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সোমবার সকালের ধসে বিপর্যস্ত গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা। সকাল ৯টা নাগাদ গ্যাংটক থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূরে ১৩ মাইল এলাকায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গু যাওয়া অথবা ছাঙ্গু থেকে ফেরা পর্যটকদের গাড়ি আটকে পড়ে। দু’ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকার পরে প্রশাসনের সাহায্যে ছোট গাড়ি চলাচলের ব্যাবস্থা করা হলেও দুপুরে ফের ধস নামায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দারা জানান, দুপুরে ধস নামার পাশাপাশি একটি পর্যটক বোঝাই বাসের চাকা ধসে আটকে যায়। কেউ জখম না হলেও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধই ছিল।
এদিন দুপুর থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় গ্যাংটক সহ লাগোয়া এলাকায়। সে কারণে রাস্তা মেরামতির কাজও করা সম্ভব হয়নি। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্যাংটক-ছাঙ্গু রাস্তায় সারি দিয়ে পর্যটকদের গাড়ি থমকে। পর্যটকদের হোটেলে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। |
|
ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে ধানের। কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
গত দু দিন ধরেই সিকিম জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত রবিবার রাতভর বৃষ্টির পরে এদিন সকাল থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সিকিম থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণেই সিকিমে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তর সিকিমে তুষারপাতও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলবে। তুষারপাতও হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।”
ঝড়বৃষ্টিতে কোচবিহারে তুফানগঞ্জ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধান ও সব্জি খেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ তুফানগঞ্জ মহকুমাজুড়ে আচমকা ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনার জেরে শুধু তুফানগঞ্জ ২ ব্লকেই অন্তত এক হাজার বিঘা আমন ধানের খেত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বেগুন লঙ্কা ঝিঙে-সহ সব্জি খেতেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বক্সিরহাটের থেটারপাট এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ায় এক ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত হয়। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে শালডাঙায়। তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি স্বপন সাহা জানান, প্রাথমিক ভাবে অন্তত এক হাজার বিঘা আমন ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর এসেছে। কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার ও খুঁটিরও ক্ষতি হয়েছে। তুফানগঞ্জ ১ ব্লকেও ঝড় সব্জি খেতেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি জগদীশ বর্মন বলেন, “নাটাবাড়ি নাককাটিগছ ও চিলাখানা এলাকায় ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। ফলন কমার সম্ভাবনা রয়েছে।” তুফানগঞ্জের মহকুমাশাসক পালদেন শেরপা বলেন, “বিডিওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” মুখ্য কৃষি আধিকারিক প্রণবজ্যোতি পণ্ডিত জানান, ঝড়বৃষ্টির ক্ষতি নিয়ে এডিওদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|