রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এসি প্লান্টেরই প্রয়োজনীয় দমকলের ছাড়পত্র ছিল না। হত না প্লান্টের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও। যার জেরে এসি প্লান্টের বিস্ফোরণে জখম হলেন পাঁচ জন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ৩ নম্বর মিড্লটন স্ট্রিটে। সংস্থার কর্মীরা জানান, বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পুরো অফিসটাই। |
পুলিশ এবং দমকল সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ ওই সংস্থার ভবনে আচমকা বিস্ফোরণ হয় এসি প্লান্টের অ্যামোনিয়া ভর্তি সিলিন্ডারে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ওই প্লান্টের একটি সিলিন্ডার কয়েক মিটার দূরে ছিটকে যায়। ভবনের চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরবাইকের তেলের ট্যাঙ্কারও ফেটে যায়। বিস্ফোরণে সংস্থার চার কর্মী ছাড়াও অফিসের বাইরের এক হকার আহত হন। এঁদের কারও মাথায়, কারও পায়ে চোট লেগেছে। দমকলের দক্ষিণ বিভাগের আধিকারিক দিলীপকুমার দাস জানান, এসি প্লান্ট বসানোর আগে দমকলের ছাড়পত্র নেওয়া জরুরি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। এই ধরনের প্লান্টে অ্যামোনিয়া ভর্তি সিলিন্ডার থাকে। নিয়মানুযায়ী প্লান্ট তৈরি করা হয়, সেটি আলাদা করে দেওয়াল তুলে ঘিরে রাখতে হয়। কিন্তু এখানে কোনও নিয়মই মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী, প্লান্টটি বহু বছরের পুরনো। তার রক্ষণাবেক্ষণও নিয়মিত হত না বলেও দমকল সূত্রের খবর।
ওই সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার সুবীর ভট্টাচার্য অবশ্য দমকলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, যে ঠিকাদারি সংস্থা ওই এসি প্লান্ট বসিয়েছে, তারাই রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি দেখভাল করত। |