গয়না চুরির ঘটনায় এক দিকে যখন বমাল ধরা পড়ল অভিযুক্ত, একই দিনে আর এক গয়না চুরির অভিযোগ দায়ের হল থানায়। দু’টি ঘটনারই কেন্দ্রে কর্নফিল্ড রোড। প্রথম ঘটনাটিতে অভিযুক্ত পরিচারিকাকে বারুইপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। দ্বিতীয় ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাড়ির গাড়িচালককে।
পুলিশ জানায়, ধৃত পরিচারিকা সুপ্রিয়া ঘোষাল (৩১) বারুইপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। সেখান থেকেই রবিবার রাতে তাকে ধরা হয়। ধৃতের কাছে চুরি যাওয়া অধিকাংশ গয়নাও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। |
কর্নফিল্ড রোডের বাসিন্দা রাজেন্দ্রকুমার পাটোয়ারি নামে এক ব্যবসায়ী গত ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ির পরিচারিকা সুপ্রিয়া আলমারি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনা ও হিরের গয়না হাতিয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে এবং ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মাস ছয়েক আগে ওই পরিচারিকা রাজেন্দ্রকুমারের বাড়িতে সর্বক্ষণের কাজে যোগ দেয়। যে দিন চুরির অভিযোগ করা হয়, সে দিন থেকে সুপ্রিয়া আর ওই বাড়িতে কাজে আসছিল না।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, ওই পরিচারিকা বারুইপুরের যে বাড়ির ঠিকানা ব্যবসায়ীকে জানিয়েছিল, তা ভুয়ো। এ-ও দেখা যায়, সুপ্রিয়ার মোবাইলও ১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই বন্ধ। পুলিশের দাবি, দিন কয়েক আগে ওই হ্যান্ডসেটের নম্বর পরীক্ষা করে জানা যায়, পুরনো নম্বর বাতিল করে নতুন একটি নম্বর নিয়েছে ওই পরিচারিকা। তারই সূত্র ধরে রবিবার রাতে বারুইপুরেরই একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুপ্রিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া গয়না।
পুলিশ জানায়, ওই রাতেই দীপক চট্টোপাধ্যায় নামে কর্নফিল্ড রোডের আর এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর ঘর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ও বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না চুরি হয়েছে। পেশায় আইনজীবী দীপকবাবু পুলিশকে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলেন। রাত দশটা নাগাদ ফিরে দেখেন, তাঁর বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙা, আলমারি লণ্ডভণ্ড করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মেয়ের বিয়ের গয়না ও কয়েক লক্ষ টাকা।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই আইনজীবীর গাড়িচালক তাঁকে বন্ধুর বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য গাড়ি নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই চালককে রাতেই গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে। তবে চুরি যাওয়া জিনিস সোমবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। |