তৃণমূলের ১০ কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেও গুসকরা পুরসভার পুরপ্রধান বা উপ-পুরপ্রধান ঠিক করতে পারল না দল।
দলের রাজ্য নেতা আলোক দাস বলেন, “সোমবার তৃণমূলের নব নির্বাচিত কাউন্সিলারদের মধ্যে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় বাদে সকলেই হাজির ছিলেন। ঠিক হয়েছে, খোদ মুকুল রায় আগামী ৪ নভেম্বর গুসকরা গিয়ে এই কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসবেন। সেখানেই ঠিক হবে পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের নাম।” গত ২২ অক্টোবর গুসকরা পুরসভায় জয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে প্রধান ও উপপ্রধানের নাম বাছাই হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের বাধায় তাঁদের পদে বসানো যায় নি।
এ দিন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা পরপর চারবার পুরভোটে জয়ী কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার বলেন, “২২ সেপ্টেম্বর কী পরিস্থিতিতে পুরসভার অতিথিশালার বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছিলাম, তা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে এসেছি মুকুলবাবুকে। কথাগুলো জানাতে পেরে আমি তৃপ্ত। কে পুরপ্রধান বা উপ-পুরপ্রধান হবে তা নিয়ে আমার আর কোনও দুশ্চিন্তা নেই।” গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই বলেন, “মুকুলবাবু বলে দিয়েছেন, ৪ তারিখে উনি গুসকরায় গিয়ে দলের পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের নাম ঘোষনা করবেন। আরও বলেছেন, ওই দুটি পদের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এখন ওই দিন বেলা ১টা নাগাদ তিনি গুসকরায় এলেই পুরবোর্ডের শপথগ্রহন অনুষ্ঠান নতুন করে হবে, এটুকু বলতে পারি।” |