সারা রাত্তির নাটকের একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র। |
‘বীরভূম আনন’ নাট্যসংস্থা রবিবার সন্ধ্যায় সিউড়ির শ্রীরামকৃষ্ণ সভাগৃহে বাদল সরকারের ‘সারা রাত্তির’ নাটকটি পরপর দু’বার মঞ্চস্থ করল। এটি বাদল উত্সবের চতুর্থ নাটক। ডিসেম্বরের মধ্যেই আরও দু’টি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা। মোট তিন চরিত্রের নাটকটি ছিল ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের। রঞ্জনের চরিত্রে বাবুন চক্রবর্তী ও স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্তুতি দাস অভিনয় করেছেন। আবহাওয়া সঙ্গীতে কাকলি দাসও যথেষ্ট মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। নাট্য পরিচালক বাবুন চক্রবর্তীর বক্তব্য, নাটকে রঞ্জনের চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটকের প্রতিচ্ছবি। নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে লেখা এই নাটকটির বয়স ৫০। ১৯৬৩ সালে লেখা নাটকটি প্রথম মহারাষ্ট্রের রঙ্গায়ন নাট্যগোষ্ঠী মারাঠি ভাষায় মঞ্চস্থ করে। নাটকটির মারাঠি নাম ছিল ‘সারি রাত’। নাটকটির মারাঠি অনুবাদ করেছিলেন ফুলদেশ পাণ্ডে।
|
৭০ ও ৮০-র দশকে এই জেলার দুর্গাপুজোর সঙ্গে দারুণ ভাবে জড়িয়ে ছিল লিটল ম্যাগাজিন। নানা প্রান্ত থেকে ওই সব পত্রিকার পুজো সংখ্যা বের হত। কালের স্রোতে যার সংখ্যা এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমন পড়তি সময়েও এ বছর পুজোয় জেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনের নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। যা জেলার সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিদের মনে অনেকটাই আশা জোগাচ্ছে। জেলার বেশ কয়েক জন কবির কবিতা এবং কবিতা বিষয়ক আলোচনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘সৃজন কথা’। এই লিটল ম্যাগাজিনের শারদ সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতাগুলি পাঠকের মনে চমক জাগায়।
একই ভাবে কবিতা ও কবিতা বিষয়ক লেখাপত্র নিয়ে জমাটি সংখ্যা বের করেছে সিউড়ির ‘আহ্বান’ও। বোলপুরের সুরুল গ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘কবিতায়ন’-এর শারদ সংখ্যায় রয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে স্মৃতিচারণ। আবার কবিতা ছাড়াও ‘মথ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রকলা ও গান নিয়ে একটি সাক্ষাত্কারধর্মী লেখা। এ দিকে সাঁইথিয়া থেকে দেবাশিস দাসের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রগতি’র দুর্গা সংখ্যা। দুর্গার বিভিন্ন রূপ ব্যাখ্যা করেছেন বিশিষ্ট লেখকেরা। সঙ্গে ছাপা হয়েছে টেরাকোটা মন্দিরের গায়ে খোদিত দুর্গার কয়েকটি প্রতিরূপও। |