শিলচরে উদ্ধার রক্তচন্দন কাঠ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
শিলচরে উদ্ধার হল প্রচুর রক্তচন্দন কাঠ। কাঠ পাচারে জড়িত অভিযোগে শুক্রবার শহরের একটি হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাজীব আহমেদ মজুমদার, আব্দুল কাসেম বড়ভুঁইয়া। রাজীবের বাড়ি শিলচরে। আব্দুল থাকে হাইলাকান্দিতে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে করিমগঞ্জ জেলার চরগোলায় একটি বাড়ি থেকে ১৮টি রক্তচন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত হয়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বরাক উপত্যকায় চন্দন কাঠের চোরাকারবার চলছে। ওই চক্রের পাণ্ডা মালুয়ার বাসিন্দা ‘শাহিদ-সাব’ নামে পরিচিত এক দুষ্কৃতী। রাজীব, আব্দুলরা ওই চক্রের এজেন্ট। ক্রেতা জোগাড় করে দেয় তারা। বদলে প্রতি কিলোগ্রাম ১০০ টাকা করে কমিশন পায়। মিজোরামে ওই কাঠের চাহিদা আছে। তদন্তকারী অফিসার মুকুট কাকতি জানান, বাজেয়াপ্ত কাঠের বাজারদর প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। সে গুলি বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শিলচর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রক্তচন্দনের গাছ কার্যত নেই। সেগুলি পাওয়া যায় হিমালয়ের পাদদেশ, দক্ষিণ ভারতে। ওই চক্রটি আগর গাছও পাচার করে। বাজেয়াপ্ত কাঠদুলির মধ্যে একটি আগরকাঠও রয়েছে বলে তাঁর অনুমান। দেবাশিসবাবুর বক্তব্য, বরাকের বাজারে এ সবের কেনাবেচার সম্ভাবনা কম। অন্য রাজ্যে পাচারের জন্যই তা মজুত করা হয়েছিল।
|
ঘুম পাড়িয়ে বুনো হাতির চিকিৎসা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে জখম বুনো হাতির চিকিৎসা করল বন দফতর। রবিবার বন নিগমের কালিম্পঙের নেওড়া রেঞ্জের বুড়িখোলা বিটের মাল ৬ কম্পার্টমেন্টে একটি স্ত্রী হাতির চিকিৎসা করা হয়। বুনো হাতির চিকিৎসার জন্য গরুমারা উদ্যান থেকে ফুলমতি, কিরণরাজ নামের দুই কুনকি হাতিকে নিয়ে যাওয়া হয়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দুই চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বেরা ও অশোক কুমার সিংহ জখম হাতিটির চিকিৎসা করেন। কুনকি হাতি দিয়ে জখম হাতিকে তাড়িয়ে এনে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে চিকিৎসা শুরু হয়। হাতিটির সামনের ডান পায়ে হাঁটুর নীচে ক্ষত ছিল বলে জানা গিয়েছে। বন নিগমের কালিম্পঙের সহকারী ডিভিশনাল ম্যানেজার অরিন্দম লেপচা বলেন, “জখম হাতিটির পা থেকে রক্ত ও পুঁজ পড়ছিল। দু’দিন আগে বনকর্মীরা টহল দেওয়ার সময় হাতির পায়ে রক্ত দেখতে পান। কী ভাবে হাতিটি জখম হয় জানা যায়নি।” |