টুকরো খবর
রাজ্য বিভাজন রুখতে সরব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
লুইত তীরের রাজ্য বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব হলেন গোমতীপারের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। গত সন্ধ্যায় কথাশিল্পী হীরেন গোঁহাই ও কন্ঠশিল্পী দিলীপ শর্মার দু’টি রচনা সংকলন প্রকাশ করতে গুয়াহাটি এসেছিলেন মানিকবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, “অসম, ত্রিপুরা ভাগ করতে বহির্শক্তির মদতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে।” গুয়াহাটি তথা অসমের শিল্প, সাহিত্যের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী দিলীপ শর্মা এবং সাহিত্যিক হীরেন গোহাঁই। দু’জনই উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন। অসমে একদিকে আধুনিক গানের প্রসার, অন্যদিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার প্রচলন করেছিলেন প্রয়াত দিলীপ শর্মা। তাঁর সাক্ষাৎকার এবং রচনার সংকলনের নাম ‘পথ আরু পাথেয়-গণশিল্পী দিলীপ শর্মার স্মৃতি আরু সৃষ্টি’। অসম আন্দোলনের উত্তাল সময়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন হীরেনবাবু। এই বুদ্ধিজীবী অসমের মননের অভিভাবকের মতোই। ঋজু ব্যক্তিত্ব বজায় রেখেছেন এখনও। তাঁর গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনাকাল, আলফার উত্থান এবং অসমের অন্ধকার যুগের দলিল ‘ইমান তিতা সাগরর পানি’ বইটি। মানিকবাবু ওই দুই ব্যক্তিত্বের উদাহরণ টেনে বলেন, “অসম পৃথক করার চক্রান্ত চলছে। ত্রিপুরাতেও রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। এ সবের পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই ও মার্কিন সিআইএ। অসমের বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিকের দায়িত্ব সেই চক্রান্তকে বানচাল করে নবীন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখানো।” হীরেন গোঁহাই বলেন, “অসম আন্দোলনের সময়েও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি সক্রিয় ছিল। তারা সবসময়ই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে সক্রিয় থাকে। সমাজ ও দেশকে বিনাশের পথে টানতে চায়। তবে, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্রের অস্তিত্ব অমর। সত্যের অন্তহীন, অনিরুদ্ধ গতিই হল শেষ কথা।”

হামলায় হত ব্যবসায়ী
‘ইনারলাইন পারমিট’ চালুর আন্দোলনে দ্বিতীয় ‘বলি’ হলেন মেঘালয়ের ব্যবসায়ী ভিকেশ নন্দওয়াল (৩৪)। ৯ অক্টোবর আন্দোলনকারীরা শিলং-এর একটি দোকানে ঢুকে সেটির মালিক ভিকেশের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ওই যুবককে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, সেখানকার হাসপাতালে কাল তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে পুলিশবাজারে শতাধিক মানুষ মোমবাতি মিছিল করেন। ভিকেশের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তিনি বলেন, “যারা আন্দোলনের নামে এমন নৃশংস, কাপুরুষোচিত কাজ করল তাদের ক্ষমা করা যায় না।” বিক্ষোভকারীরা ২৬ সেপ্টেম্বর একটি দোকানে পেট্রল বোমা ছুঁড়লে, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যাদেবী চোখানির (৭৪)। অবশ্য আন্দোলনকারীরা পিছু হঠছে না। মঙ্গলবার থেকে ফের নৈশ পথ-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

লেখক সম্মেলন
সাহিত্য আকাদেমির উদ্যোগে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হল দু’দিনের লেখক সম্মেলন। বিবেকানন্দ কেন্দ্রে কবি এবং লেখকদের সম্মেলনে অসমীয়, বড়ো, মৈথিলী, সাঁওতালি, মণিপুরি, নেপালি, ওড়িয়া ভাষার কবি-সাহিত্যিকরা অংশ নেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করেন কবি প্রবালকুমার বসু ও লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত
কাছাড় জেলার শ্রীকোনায় ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রেল পুলিশ জানায়, তাঁর নাম সুকোমল দত্ত। বাড়ি হাইলাকান্দি জেলার নতুনপাড়ায়।

ইটে আহত উমেন চান্ডি
পুলিশের অ্যাথলেটিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ইটে আহত হলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডি। অভিযোগের তির বিরোধী এলডিএফের কর্মী-সমর্থকদের দিকে। সৌর কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে রাজ্য জুড়ে এখন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে বামেদের। সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কান্নুর শহরে রবিবার নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ফাঁকি দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে চলে এসেছিলেন ওই দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের ছোড়া ইটে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির একটি কাচ ভেঙে তার টুকরো গিয়ে লাগে চান্ডির কপালে, ডান চোখের উপরে। চান্ডি অবশ্য ওই ঘটনার পরেও পুলিশের অনুষ্ঠানে হাজিরা দিয়েছেন। চিকিৎসকেরাও পরে জানিয়েছেন, উদ্বেগের কিছু নেই।

ঠিক হতেও পারে রাহুলের মত: সঙ্ঘ
মুজফ্ফরনগরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম যুবকদের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যোগাযোগের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাহুল গাঁধী। ফলে, বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু রাহুলের মন্তব্যে কিছুটা সত্যতা থাকতে পারে বলে রবিবার মন্তব্য করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। সঙ্ঘের মুখপাত্র দত্তাত্রেয় হোসাবালের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়েছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে নির্যাতনের দাবি
বিজেপি-তে ‘মানসিক ভাবে অত্যাচারিত’ হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি করুণা শুক্ল। রবিবার এমনই দাবি করে তিনি জানান, বিজেপি-র ছত্তীসগঢ় শাখায় ঠিক কী পরিমাণ অবহেলিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিজেপি আমাকে এতটাই অত্যাচার করেছিল যে আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম দলে আমার প্রয়োজন বোধহয় শেষ।” শনিবার বিজেপি-র বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে করুণা দল থেকে ইস্তফা দেন।

রেল নিয়েও খোঁচা মোদীর
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বিহার থেকে বেশ কয়েক জন রেলমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু রেলের বিষয়ে তাঁদের থেকে তিনি অনেক বেশি ভাল বোঝেন বলেই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ছোটবেলায় স্টেশনে চা বিক্রি করতেন। সেই সূত্রে মাঝে মধ্যেই তাঁকে ট্রেনে চড়তে হত। রবিবার পটনায় হুঙ্কার র্যালিতে মোদী বলেন, “আমি জানি, পুলিশ আর টিকিট পরীক্ষকদের সামলে ট্রেনে ওঠাটা কত চাপের।” রেলমন্ত্রীদের তালিকায় নীতীশ কুমার আর লালু প্রসাদও রয়েছেন, যাঁরা মোদী বিরোধী বলেই পরিচিত। রবিবার মোদীর এই উক্তি করে পরোক্ষে লালু-নীতীশকেই খোঁচা দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.