বাড়ির সিঁড়ির কাছে কাজ করছিলেন হাতিয়ারার বাসিন্দা পাম্প সারাইয়ের মিস্ত্রি নন্দ হালদার (২৮)। হঠাৎই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিউ টাউন থানা এলাকার হাতিয়ারায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর মৃণাল সর্দার এবং
|
মৃত নন্দ হালদার |
বাড়ির মালিক সুদীপ্ত রায়ের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে নন্দর। এলাকার বাসিন্দারা এই অভিযোগে কাউন্সিলরের অফিস ও সুদীপ্তবাবুর বাড়ির আসবাব ভাঙচুর করে জনতা। হাতিয়ারা রোডও প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে নিউ টাউন থানার পুলিশ ও পরে র্যাফ নামে। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “ওই যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। তার পর স্থানীয়েরা পথ অবরোধ, ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দ হাতিয়ারার ৪ নম্বর কলোনির বাসিন্দা। হাতিয়ারারই বাসিন্দা সুদীপ্তবাবু বাড়ির পাম্প সারাইয়ের জন্য নন্দকে ডাকেন। তিনি বলেন, “শনিবার টানা বৃষ্টিতে বাড়িতে জল ঢুকেছিল। হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে সিঁড়ির কাছে পাম্প সারাচ্ছিলেন নন্দ। পাম্প দিয়ে ধোঁয়া বেরনোয় তিনি মিটার বক্স দেখতে যান। মিটার বক্সে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জলে পড়ে যান।”
সুদীপ্তবাবু জানান, ঘটনার পরে তিনি কাউন্সিলর মৃণাল সর্দারকে ফোন করেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তিনি জলে নামেননি। কাউন্সিলর এসে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আতঙ্কে কাছে ঘেঁষেননি। নন্দ ওখানেই পড়ে থাকেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকাবাসীরা এসে নন্দকে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কাউন্সিলর এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। নন্দকে উদ্ধারের চেষ্টা করেননি। এর পরেই একদল লোক সুদীপ্তবাবুকে মারধর করে তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মৃণালবাবুর অফিসও ভাঙচুর করে। হাতিয়ারা রোডও অবরোধ করে তারা। মৃণালবাবুর দাবি, “সময় নষ্ট করিনি। নন্দ জলে পড়ে থাকায় সবাইকে সাবধান করি। না হলে বাকিদেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল।” নন্দর স্ত্রী সোনালি বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেয়েই ন’টা নাগাদ কাজে বেরিয়ে গেল। বলল কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসব। আর এল না।” |