|
|
সোনু নিগম |
শান |
কেতকী গুলাব জুহি
ছবি: বসন্ত বাহার (১৯৫৬) |
কারণ: যে সময়ে এই গান রেকর্ড করা হয়েছিল, পণ্ডিত ভীমসেন যোশী তখন পিক ফর্মে। শুধুমাত্র ভীমসেনজিকে ‘জাস্টিফাই’ করে গাওয়াটাই তো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আজও এই গানটা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। |
মৌসম আয়েগা জায়েগা
ছবি: শায়দ (১৯৭৯) |
কারণ: আমার বাবা মানস মুখোপাধ্যায় এই গানের সুর দিয়েছিলেন। অবশ্যই এই গানের সঙ্গে আমার ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বেশ ট্রিকি কম্পোজিশন ছিল আর মান্নাদা কী সুন্দর সেটা গেয়েছিলেন! |
প্যার হুয়া ইকরার হুয়া
ছবি: শ্রী ৪২০ (১৯৫৫) |
কারণ: সরল রোম্যান্টিক গান। কিন্তু কী মাধুর্য। মান্না দে-র তো ক্ল্যাসিকাল সঙ্গীতের চর্চা ছিল। কিন্তু এ গানের মধ্যে তো তিনি তাঁর ক্ল্যাসিকাল ট্রেনিংটা জাহির করেননি। বরং কী মার্জিত ভাবে রোম্যান্টিক, ‘আপবিট’ গান গেয়েছেন। এটাই শেখার। |
এ্যায় মেরে প্যারে ওয়তন
ছবি: কাবুলিওয়ালা (১৯৬১) |
কারণ: আমার কাছে এটি হল ঘরে ফেরার গান। দেশাত্মবোধক গানের স্পিরিটটা দারুণ ভাবে ধরা পড়েছিল এই গানে। |
এ ভাই জরা দেখকে চলো
ছবি: মেরা নাম জোকার (১৯৭০) |
কারণ: এই গান আমি অন্তত ২০০ বার শুনেছি। এমনকী গানটার মিউজিক পার্টটাও মুখস্থ। এক ক্লাউনের গান, যিনি কিনা ছ্যাবলা নন। যিনি জানেন রসিকতার মধ্যেও কী বলতে হয়। আর সেটাই তিনি গানের মধ্যে দিয়ে বলেন। আমার ভাষায় এটা হল একটা ‘মিউজিক্যাল র্যাপ সং’য়ের অন্যতম সেরা নিদর্শন। |
আও কঁহা সে ঘনশ্যাম
ছবি: বুড্ঢা মিল গয়া (১৯৭১) |
কারণ: মান্না দে অনেক ক্ল্যাসিকাল গান গেয়েছেন। তবে এ গানের মধ্যে আমি ওঁর একটা পার্সোনালাইজড টাচ পাই। গানটা হয়তো ওঁর অন্যান্য গানের মতো অত জনপ্রিয় হয়নি। আমার অবশ্য এই গানটি খুব প্রিয়। বিশেষ করে যে ভাবে মান্নাদা তাঁর গায়কি দিয়ে কম্পোজিশনটার মাধুর্য প্রকাশ করেছিলেন, সেটা অসাধারণ। |
এ্যায় মেরে প্যারে ওয়াতন
ছবি: কাবুলিওয়ালা (১৯৬১) |
কারণ: গানটার মধ্যে আরবি সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা খুঁজে পাই। শুধু মেন নোট নয়, এই গানের মধ্যে রয়েছে কিছু ‘নোটস বিটুইন নোটস’। যাকে বলা হয় ‘শ্রুতি’। মান্নাদার গলায় সেই ‘শ্রুতি’গুলো এক অনন্য আমেজ তৈরি করেছে। |
ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে |
কারণ: মান্নাদা শুধু যে কিংবদম্তি গায়ক ছিলেন তা নয়। সুরকার হিসেবেই উনি কী সুন্দর কাজ করেছেন। ওঁর সুর দেওয়া এই গানের অন্তরাটা আমাকে বিশেষ করে নাড়া দেয়। |
এক চতুরনার
ছবি: পড়োসন (১৯৬৮) |
কারণ: এই গানে মান্নাদা নিজের ঔদার্য দেখিয়েছেন। উনি পরদার চরিত্রের কথা মাথায় রেখে কিশোরদার কাছে হার স্বীকার করে নিয়েছিলেন। মান্নাদাকে তো নিজের ব্যক্তিত্বই বদলে ফেলতে হয়েছিল এই গানটা কর্ণাটকী কায়দায় গাওয়ার জন্য। সেই অর্থে ওঁকে কিন্তু কিশোরদার থেকে বেশি খাটতে হয়েছিল গানটাতে। |
প্যার হুয়া ইকরার হুয়া
ছবি: শ্রী ৪২০ (১৯৫৫) |
কারণ: কত অসাধারণ রোম্যান্টিক গান গেয়েছেন মান্নাদা। তবে এই গানটা শুনলেই যেন আমি দৃশ্যটা দেখতে পাই। বৃষ্টি, একটা ছাতা... আর রাজ কপূর-নার্গিস। আবেগ সংযমে রেখে কী ভাবে একটা রোম্যান্টিক গান গাওয়া যায়, তা এখানে মান্নাদা দেখিয়ে দিয়েছেন। |