ঘিসিঙ্গের কাছে সিপিএম নেতারা
রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে মোর্চার বন্ধ-এর রাস্তা থেকে সরার সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে স্বাগত জানালেও, পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করতে আসরে নেমেছে সিপিএম-ও। তাই একদা ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে ভাবা সুবাস ঘিসিঙ্গকে কাছে টানতে চাইছে তারা। শনিবার শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ঘিসিঙ্গের সঙ্গে দেখা করে প্রায় আধ ঘণ্টা আলোচনা করেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ও সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার। জিএনএলএফ সূত্রে খবর, পাহাড়ে ঘিসিঙ্গকে দীর্ঘ দিন ঢুকতে না-দেওয়া যে বামফ্রন্ট সরকারের ‘ভুল’ হয়েছিল, তা-ও স্বীকার করেছেন ওই দুই নেতা।
জীবেশবাবু অবশ্য বলেন, এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। “তবে পাহাড়ের সব কিছু নিয়েই কথা হয়েছে।” ঘিসিঙ্গকে দ্রুত পাহাড়ে ফেরার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
সিপিএমের এই তৎপরতার দিকে নজর রাখছেন মোর্চা ও তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই পক্ষই বলছেন, শান্তি ফেরার প্রক্রিয়া শুরুর পরে কেউ দলাদলি করে অশান্তির চেষ্টা করলে পাহাড়বাসীই জবাব দেবেন। মোর্চার প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেছেন, “অন্য যে সব দল এখন তৎপরতা দেখাচ্ছে, তাঁদের দৌড় পাহাড়বাসী জানেন।”
ঘটনা হল, শুক্রবার দার্জিলিঙে মোর্চা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দু’পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছনোর পরেই পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দল আসরে নেমে পড়েছে। যাদের মধ্যে একদিকে রয়েছে, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ, সিপিআরএম, ভারতীয় গোর্খা পরিসঙ্ঘের মতো দল। ওই সম্ভাব্য জোটের একাংশের আশু লক্ষ্য হল, পাহাড়ে কোনও ভোট হলে এক হয়ে লড়া। তাতে একযোগে মোর্চা-তৃণমূল উভয়কেই বেকায়দায় ফেলা যাবে। উপরন্তু, জোটের যে অংশ আলাদা রাজ্যের দাবিদার, তারা ভবিষ্যতে গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান সামনে রেখে পাহাড়ে কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা করবে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.