শিলিগুড়ি পুরসভা উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সিপিএম এর দুই প্রার্থী। শনিবার মহকুমাশাসকের কার্যালেয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হীরক রায়ের কাছে মনোনয়ন জমা দেন তাঁরা। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী উমা গোয়েল ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দীপা বিশ্বাস। এদিন দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দফতরে আসেন তাঁরা। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, দার্জিলিং জেলা সিপিএমের কার্যনিবার্হী সম্পাদক জীবেশ সরকার ও কয়েকজন বাম কাউন্সিলর। অশোকবাবু বলেন, “চার বছরে এই পুরবোর্ড কোন কাজ করেনি। জোট করে ভোট করলেও একসঙ্গে বোর্ড পরিচালনা করতে ব্যর্থ তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে শহরের মানুষ আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে বলে আশাবাদী।” তাঁদের অভিযোগ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হওয়ার কারণ তৃণমূলের দল ভাঙানোর রাজনীতি। নান্টু পালকে দলে নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একাংশ সদস্যদের দুর্ব্যবহার এবং দাপটে কাউন্সিলর চৈতালি সেনশর্মা পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বামেদের অভিযোগ, যে দলের সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে দলীয় কাউন্সিলর পদত্যাগ করেন, তাঁদের মানুষ আর পছন্দ করছেন না। অশোকবাবু বলেন, “একদিকে তৃণমূলের অনৈতিক কার্যকলাপ এবং অন্যদিকে এই চার বছরে পুর পরিষেবা স্তব্ধ এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতেই মানুষ আমাদের নির্বাচিত করবেন।” ইতিমধ্যে দু’টি ওয়ার্ডেই প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের বাড়িতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচনে জিতলেও পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে কোন অনাস্থা আনার পরিকল্পনা নেই বলে জানান অশোকবাবু। পরিষেবার বেহাল অবস্থা নিয়ে সাওয়াল করলেও কোনভাবেই এই বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে নারাজ তাঁরা।
গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তা চলবে। শিলিগুড়ি পুরসভা উপনির্বাচনে প্রথম মনোনয়ন জমা দিলেন বামেরা। আগামী সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। কংগ্রেসের প্রার্থী পদে রয়েছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডেক সৌরভ ভট্টাচার্য ও ৩১ নম্বর এর পিউ ভট্টাচার্য। তৃণমূলের প্রার্থী নান্টু পাল ও জনা বাগচী। |