পচন রোগে আক্রান্ত ফালাকাটা ব্লকের সব্জি খেত ঘুরে দেখলেন কালিম্পং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের দুই গবেষক। শনিবার তাঁরা ব্লকের কয়েকটি গ্রামে গিয়েছিলেন। পরীক্ষার জন্য রোগগ্রস্ত সব্জির নমুণা সংগ্রহ করেচেন তাঁরা। গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ সাজিদ আলি ও মেম্বল ডবলু মোক্তান প্রাথমিকভাবে জানান, জীবানু সংক্রমণেই সব্জি খেতে পচন ধরেছে।
বিশেষজ্ঞ সাজিদ আলি বলেন, “প্রাথমিক পরীক্ষায় এটা স্পষ্ট রালস্টনিয়া সোলানাসেরাম নামে এক ধরনের জীবানুর জন্যই পচন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সেটা জানার জন্য গবেষণাগারে পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।”
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লঙ্কা, টম্যাটো, বিনস, লাউ, বরবটির মতো সব্জি চাষ হয়েছে। কিন্তু পুজো থেকে পচন রোগে প্রচুর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। |
বৃষ্টি ও তাপমাত্রার আচমকা পরিবর্তনের কারণে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন বিশেষজ্ঞরা প্রথমে কালীপুর গ্রামে যান। সেখানে ফুলকপি ও লঙ্কা খেত পরিদর্শন করেন। চাষিদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তাঁরা। কৃষি দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন তাঁরা। ওই গ্রাম থেকে জয়চাঁদপুর ও ক্ষীরেরকোট, যোগেন্দ্রপুর গ্রামে গিয়েছিল দলটি। কৃষি দফতরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জমি না দেখেই ওষুধ লিখে দেন। তাই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। যদিও ব্লক কৃষি কর্তারা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের পাল্টা দাবি, কর্মীর অভাবে অনেক সময় খবর পেয়েও গ্রামে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে ওষুধ দিতে হলে, গাছ দেখে, সব্জি পরীক্ষা করেই ওষুধ দেওয়া হয়। |