|
|
|
|
জলপথ সমবায়ে অচলাবস্থা কাটাতে বিশেষ অফিসার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার এ বার এক জন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করল হুগলি নদী জলপথ সমবায়। শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য সমবায় দফতরের ওই অফিসার।
নির্বাচন ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই সমবায়ের পাঁচ সদস্য পদত্যাগ করায় রাজ্য সরকার মনোনীত পরিচালন বোর্ড ভেঙে গিয়েছিল পুজোর আগেই। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল জলপরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই সমবায়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার তাই স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে ওই সমবায়ের অচলাবস্থা দূর করার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “জলপথ পরিবহণে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে ওই সমবায়ের সকলকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী চান না জলপথ পরিবহণে কোনও সমস্যা হোক।” |
|
হুগলি নদী জলপথ সমবায় সমিতির অচলাবস্থা কাটাতে গত ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর ৯ সদস্যের একটি মনোনীত পরিচালন বোর্ড গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। আমরা-ওরার বেড়া ভেঙে ওই বোর্ডে তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমকেও জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি মাসের ১৫ তারিখ মনোনীত বোর্ডের সময়সীমা শেষের আগেই ওই বোর্ডে ৯ জনের মধ্যে ৫ জন সমবায় পরিচালনার ক্ষেত্রে চেয়রাম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের বিরোধা ও নির্বাচনের দাবিতে পদত্যাগ করেন।
ওই সমবায় সূত্রে জানা যায়, যাঁরা পদত্যাগ করেন তাঁরা সকলেই সিপিএমের নেতৃস্থানীয়। এই পদত্যাগের জেরে পরিচালন বোর্ড স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে যায়। ব্যাঙ্কের চেক সই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তৃণমূল মনোনীত চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ। দৈনন্দিন টাকা-পয়সা লেনদেনের জন্য ব্যাঙ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দৈনন্দিন লঞ্চ পরিষেবার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে। শেষে রাজ্য সরকার এক জন স্পেশাল অফিসারকে ওই সমবায়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নিযুক্ত করেন। এ দিন দুপুরে ওই অফিসার বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রণববাবুর হাত থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। পরে প্রণববাবু বলেন, “রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি আমার দায়িত্ব স্পেশাল অফিসারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন থেকে তিনি হুগলি নদী পরিবহণ সংস্থা পরিচালনা করবেন। আমরা সাহায্য করব।”
তা হলে রাজ্য সরকার কি ফের মনোনীত বোর্ড গঠন না করে বোর্ডের নির্বাচন করার দিকে এগোচ্ছে?
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে ১লা নভেম্বরের পরে সকলে বসে সিদ্ধান্ত নেব। ওই বৈঠকে বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অশোক ঘোষ ও জেলার তিন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায় ও হায়দার আজিজ সফিকে ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে আলোচনার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|