|
|
|
|
|
|
|
ছবি: ফাইভ ব্রোকেন ক্যামেরাস
দেশ: প্যালেস্তাইন, ইজরায়েল, ফ্রান্স
পরিচালক: এমাদ বুরনাত, গাই দাভিদি
সাল: ২০১১
দেবলীনা |
|
এ আমাদের জমি, এ আমাদের ভূমি। তোমাদের হৃদয় নেই? পরিবার নেই? তোমরা প্রতিটা সৈন্য জানো এ জমি এই গ্রামের...’ প্রতিবাদী সেই কণ্ঠ এর পর গর্জে ওঠে, ‘আমাদের ভূমি তোমরা স্রেফ চুরি করেছ, চুরি।’ প্যালেস্তিনীয় পতাকা হাতে এক মাঝবয়সি মানুষ সশস্ত্র এক দল ইজরায়েলি সৈন্যর সামনে অদ্ভুত এক কোরিয়োগ্রাফি করে চলেন যেন, যে কোনও মুহূর্তে বন্দুক চলতে পারে জেনেও থামে না তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র জনতা অথবা তাঁকে দেখে চলা ক্যামেরা। লাঠি, টিয়ার গ্যাস, নানা কিসিমের গ্রেনেড, এমনকী গুলিগোলাও এই ক্যামেরারে দাবায়ে রাখতে পারে না। সে স্মৃতিবন্দি করে রাখে মিটিং-মিছিল, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, এমনকী প্রাণের বন্ধুর বুলেটবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়া তিন হাত দূরের মৃত্যুও।
না, হলিউডে বানিয়ে তোলা এ কোনও আষাঢ়ে আজব কাহিনিচিত্র নয়, এই আশ্চর্য তথ্যচিত্রটির দুই পরিচালক, এবং সেখানেও চমক। এটি এক জন প্যালেস্তিনীয় আর এক জন ইজরায়েলির যৌথ উদ্যোগ। নিরন্তর ক্ষুব্ধ, বিধ্বস্ত ভূমি ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক-এর বিল’ইন গাঁয়ের অলিভ চাষি এমাদ, সন্তান জন্মের আনন্দে একটি ক্যামেরা কেনেন। সেই ক্যামেরা সাক্ষী হয়ে থাকবে শিশু জিব্রেইল-এর বেড়ে ওঠার মুহূর্তগুলোর। কিন্তু যন্তরটি চার দেওয়ালেই বন্দি হয়ে থাকে না। প্যালেস্তিনীয় এমাদ পারিবারিক জমায়েত, এলাকার নানাবিধ অনুষ্ঠান পেরিয়ে তুলতে শুরু করেন চার পাশে ঘটতে থাকা নিত্য অশান্তি-বিক্ষোভ। মনে পড়ে যাচ্ছে কি কিসলওস্কির ‘ক্যামেরা বাফ’? কিন্তু সে ছিল গল্প, আর এ ছবি গল্পের মতো সত্যি। |
|
এমাদের গ্রাম বিল’ইন-এর সীমানায় ইজরায়েলি সেনা সেট্লমেন্ট তৈরি করতে শুরু করে, যেখানে তারা থাকবে। একই সঙ্গে নির্মাণ শুরু হয় কাঁটাতারে মুড়ে দেওয়া পেল্লায় এক সীমান্ত-দেওয়ালের। পোশাকি নাম যার ‘সেপারেশন ব্যারিয়ার’। এর ফলে বিল’ইন-এর কৃষিজমির অর্ধেকের বেশি গ্রামবাসীর হাতছাড়া হতে থাকে। শুরু হয় প্রতিরোধ। অবিরাম। এই সময়েই জিব্রেইলের জন্ম। এমাদের শখ-ক্যামেরায় হাতেখড়ি। সাত বছর ধরে এমাদ ছবি তুলতে থাকেন, ইউটিউবে আপলোড করতে থাকেন লড়াইয়ের ছবি, এক সময় রয়টার্স তাঁকে নিয়োগ করে। আর যোগাযোগ হয়ে যায় ইজরায়েলি অ্যাকটিভিস্ট ফিল্মমেকার গাই-এর সঙ্গে। তৈরি হয় এই ছবি, যেখানে এক শিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে, রোজকার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে নিপুণ বুনে দেওয়া হয় হিংসায় উন্মত্ত এক পৃথিবীর ছবি এবং প্রতিবাদের স্বর। ছবিতে শিশুটির প্রথম কথা শোনা যায় আধো বুলিতে: ‘দেওয়াল’, ‘কার্টিজ’ বা ‘জেশ’ (সেনাবাহিনী)। বড়দের এই দুনিয়াটাই তার কাছে বাস্তব, কোঁচড় ভরে সে অলিভ তোলে মা-বাবা-ভাইদের সঙ্গে টলোমলো পায়ে, আর রাতের অন্ধকারে সেই অলিভ গাছেদের জ্বালিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। হু-হু কান্নায় তার বাবার বন্ধু, তার খেলার সব থেকে প্রিয় সঙ্গী ফিল কেঁদে ওঠে, ‘এই গাছগুলো কী দোষ করেছিল বলতে পারো?’ পরের দৃশ্যেই দেখা যায় গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে অলিভ চারা হাতে সেনার মুখোমুখি, রূপকথাসম, কাঁটাতারজমি তারা ভরিয়ে দেবে সবুজে, ছোট্ট জিব্রেইল চারা তুলে দেয় এক সেনার হাতে। ছবির শেষে ফিল মারা যাবে। জিব্রেইল কী বোঝে কে জানে, সে ব্যথায়-বিস্ময়ে বাপকে জিজ্ঞেস করে, ‘ওরা আমার ফিলকে মারল কেন?’
এই ছবি তুলতে গিয়ে একটি নয়, পাঁচটি ক্যামেরার একটিই পরিণতি হয়। অকেজো হয়ে যাওয়া। আর এই এক-একটি ক্যামেরাই ছবির এক-একটি এপিসোড। ‘যখন ছবি তুলি, মনে হয় ক্যামেরাটা আমাকে রক্ষা করছে।’ এবং সত্যিই তা হয়। একটি ক্যামেরা বুকের কাছে না ধরা থাকলে বুলেট এমাদের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যেত। কোনও ক্যামেরা গ্রেনেডে, কোনওটা সেনার মারে অথবা বুলেটে বিকল হয়। আর ক্যামেরার মতোই এমাদের শরীরও ক্ষতচিহ্নে ভরে উঠতে থাকে। চরম আহত হয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বিশ দিন হাসপাতালে থাকা, গ্রেপ্তার হওয়া, গৃহবন্দি হয়ে থাকা এমাদের ক্যামেরা নিজের ভাইদের বন্দি হওয়ার, প্রাণপ্রিয় বন্ধুস্বজনদের লেন্সের সামনেই মৃত্যুর ছবি লিখতে থাকে, অদম্য। গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়ায় পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ, কিছুটা হলেও পিছু হটে সরকার। এমাদ এখনও ছবি তুলে যাচ্ছেন। ‘যে কোনও মুহূর্তে মৃত্যু আমার দরজায় আবার ঘা দেবে, কিন্তু আমি ক্যামেরা চালিয়ে যাব এবং অবশ্যই বাঁচব।’ মুখাপেক্ষী না হয়ে, নিজের কথা, নিজেদের দুঃখব্যথা যদি আমরা নিজেরা এ ভাবেই বলতে পারি?
তা হলে গল্পকথার মতো এক আশ্চর্য ছবি রচিত হয়, আর সেই সত্যকাহিনি দেখতে দেখতে মনে হতেই পারে, আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারত, কাশ্মীর বা কামদুনিতে নিজের কথা বলতে এমন ভাবে কেউ হাতে ক্যামেরা তুলে নিলে...? |
|
১৮ এপ্রিল ২০২০ |
গত কাল আমেরিকার একটি টিভি চ্যানেলে ‘কৌন বনেগা ডলারপতি’ (কৌন বনেগা করোড়পতি-র মার্কিন সংস্করণ) অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৫ কোটি ডলার ( ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ কোটি টাকা) জিতে সারা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। তিনি শেষ প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া মাত্র অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে গড়াগড়ি খাওয়া শুরু করে। উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ও ঘোষণা করেছেন, তিনি এই বিষয়ে তাঁর মানত রক্ষা করতে শিগগিরি কেদারনাথে গিয়ে ন্যাড়া হয়ে আসবেন। অর্থমন্ত্রীর এই ডলার-জয়ে পেট্রোল, ডিজেল, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদির আকাশছোঁয়া দাম ৫০-৬০ পয়সা করে কমবে বলে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডলারের নিরিখে অবমূল্যায়নের জেরে ভারতীয় টাকা ডাব্ল সেঞ্চুরি হাঁকালে (অর্থাৎ ১ ডলার= ২০০ টাকা), দেশ জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায়। লোকসভায় বিরোধী দলগুলি একযোগে অর্থমন্ত্রীকে ঠুঁটো জগন্নাথ বলে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, নিজের হিম্মতে ডলার রোজগার করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থমন্ত্রী কেবিডি-র ‘হট সিট’-এ সফল হয়ে বিরোধীদের মুখে মোক্ষম সেলোটেপ সেঁটে দিলেন। তবু, বিরোধী দলগুলি চুপ থাকতে নারাজ। অর্থমন্ত্রী কেবিডি-তে অংশ নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন বলে তারা চিৎকার শুরু করেছে। এ দিকে, প্রধান বিরোধী দলটি কেবিডি-তে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আগাম প্রশ্নোত্তর ফাঁসের ও অন্যান্য কারচুপির গুরুতর অভিযোগ এনেছে। তাদের কাছে ‘স্টিং অপারেশন’-এ পাওয়া বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে জানিয়ে, বিরোধী দলনেতা ‘ডলারগেট’ (প্রশ্নোত্তর ফাঁস স্ক্যামের নতুন নাম) বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। তবে অথর্মন্ত্রী সব অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, দেশে ডলারের আকাল মেটাতে তিনি বিদেশের অন্যান্য শোগুলিতেও যাবেন, দরকারে ‘মুভ্স দিখলা যা’-তে নাচবেন।
প্রণব কুমার মাটিয়া, পাথরপ্রতিমা |
|
|
|
|
এই কালীপুজোর
দশটা নতুন বাজি
উপল সেনগুপ্ত |
|
|
১ |
২ |
৩ |
রিমোট কন্ট্রোল্ড ছুঁচোবাজি
(বাড়িওলার ঘরে ঢুকিয়ে দিন) |
কথার ফুলঝুরি |
নাসা থেকে কেনা রকেট
(আপনার বাজি
পোড়ানো সারা দুনিয়ায় লাইভ টেলিকাস্ট) |
|
|
৪ |
|
রং-বাজি
|
|
৫ |
৬ |
৭ |
‘চকোলেট’ বোম |
ইলেকট্রিক তার
|
যে কোনও বাজিকে ফ্যান-এ বেঁধে ঘুরিয়ে ‘চরকি’ |
|
|
৮ |
৯ |
কালো রংমশাল
(দিনের বেলায় জ্বালানো ভাল) |
‘কালি’পটকা (যে কোনও
পটকায় কালি ঢাললেই হল) |
|
|
১০ |
‘ভোজ’বাজি (যে বোম ফাটলেই একটা ভূরিভোজ তৈরি। গুপি গাইন-বাঘা বাইন স্টাইলে) |
|
|
|
• বেঙ্গালুরুতে সমীক্ষায় দেখা গেল, বিয়ে ঠিক হওয়া তরুণ-তরুণীরা ঝাঁকে ঝাঁকে ডাক্তারের কাছে আসছেন, টার্গেট: অপারেশনে সৌন্দর্য বৃদ্ধি। মেয়েদের সংখ্যাই বেশি, অধিকাংশই চান পুরু ঠোঁট ও গুরু বক্ষ, প্লাস্টিক সার্জারি-জাত চোখা নাকমুখ, সুন্দর ত্বক-নখ, ছেলেরা আসছেন নোয়াপাতি ভুঁড়ি ও জোড়-চিবুক চুপসোতে, অকাল-টাকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা গালে এক্সট্রা একখান টোল টলটলাতে। দেখনসুখী কর্পোরেট-জেনারেশনের অন্যতম আদিখ্যেতা, বলে ভুরু কুঁচকোচ্ছেন অনেকে। কিন্তু ক্ষতি কী, যদি ইচ্ছেই হয় স্বীয় হুমদো দেহটি নিজের ও হবু স্পাউস-নয়নে আকর্ষণীয় সুন্দর করে তুলতে, আর উপায়ও (পড়ুন ব্যাংক ব্যালেন্স) থাকে মুঠোয়? বিয়ের দিন সেই যদি পার্লারে গিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চোখমুখচুলবডি পেন্ট করানোই দস্তুর, তবে এ কম্মে কেয়া কসুর? বিয়ের তত্ত্ব সাজানো থেকে শুরু করে হাজারটা নিরর্থক খাতে কাঁড়ি খরচে টুঁ নালিশ নেই, আর নিজ গাঁটের কড়ি খরচা করে নিজেই সুতনু হতে চাইলে অতি-আক্খুটে স্বার্থপর ছাপ্পা? ‘সম্পর্কে শরীর কেন জরুরি, মন নয়?’ এ প্রতিযুক্তিতে সেমিনারে চা-দোকানে গলা ফাটানো যায়, কিন্তু বেডরুমের নিভৃতিতে শরীরী সুখ পেতে ‘ফিট হ্যায় বস’ শরীর নির্বিকল্প, মানতেই হবে। সাংসারিক সুখ-সোয়াস্তির জন্য লা-জবাব শরীরের বিনিয়োগ মন্দ কী?
•
স্পেন-এ অ্যানিম্যাল অ্যাক্টিভিস্ট দল ‘অ্যানিম্যাল ইকুয়ালিটি’ পালন করলেন ‘নো মিট ডে’। পশুমাংসভক্ষণের প্রতিবাদ জানালেন অভিনব তরিকায়: প্যাকেটভরা মডেল নরমাংস। সাদা প্যাকেটে স্বচ্ছ সেলোফেনে যেমন মোড়া থাকে মুরগি-গরু-ছাগল-শুয়োর, তেমনই প্রমাণ সাইজ বাক্সে প্রায়-নগ্ন শুয়ে রইলেন ক’জন মডেল, এখানে-ওখানে মাখা নকল রক্ত, গোটা শরীর সেলোফেন-মোড়া, ওপরে সাঁটা ওজন ও প্যাকিং ডেটওলা ট্যাগ, যেমন থাকে ডিপার্টমেন্ট স্টোর-এর মাংসের প্যাকেটের গায়ে। উদ্দেশ্য: অন্য পশুর জায়গায় নিজেদেরই প্যাকেটস্থ রক্তাক্ত খণ্ডিত দেখে শিউরে উঠে, নৃশংসতা বুঝে, মানুষ যদি মাংস-গপগপ ছাড়ে। তবে এ দেশে এই গোছের ডেমনস্ট্রেশন-জুজু কোনও কম্মের হত বলে মনে হয় না, যেখানে আমরা নিয়ম করে দেখি সারি সারি ছাল-ছাড়ানো ঝুলন্ত পাঁঠা, স্তূপীকৃত কাটামুন্ডু নাড়িভুঁড়ি দেখেও ওয়াক তুলি না, বরং নিষ্প্রাণ রক্তমাখা পশুদেহের সচর্বি রাংখানির দিকে ছুড়ি নির্লজ্জ জুলজুল। কালীপুজোতেও পুজো ছুতো, স-মদ মাংস সাপটে গাঁউগাঁউ ঢেকুর উগরোনো মুখ্য। জিভে প্রেম করে যেই জাত, তাকে পশুপ্রেমের শিক্ষা দিতে নরমাংসের মোড়কও ফেলটুস। |
|
|
মেয়ো রোড পেরোচ্ছিল একটি সারমেয়
অঙ্গটি তার ঘিয়েভাজা, লাথির ঘায়ে ঘেয়ো
মন ছিল তার মানুষভজা (কারণটি অজ্ঞেয়)
ট্রাক এসে যা করল তাকে, আর না বলাই শ্রেয়
কুকুর
১
খারাপ (‘কু’) কুর।
২ যা
কোকিলের জিনিস
(cuckoo-র) |
|
|
|
কুকুরের দয়ালু স্বভাব দেখলে
বোঝা যায়, মানুষের কেমন হওয়া উচিত ছিল।
ডন ভ্যান ভিলেট
একটা কুকুরকে সত্যি উপভোগ করার জন্য, তাকে মানুষ-মানুষ খেলা শেখালেই হবে না, আসল মজাটা হল, নিজেকে কুকুর-কুকুর হওয়ার দিকে খুলে দেওয়া।
এডওয়ার্ড হোগল্যান্ড
কুকুর খুব কম মানুষকেই নিজের ঝকঝকে বুদ্ধির স্তরে তুলে নিয়ে যেতে পেরেছে, ঢের বেশি মানুষ কুকুরকে নামিয়েছে নিজের মূর্খতার স্তরে।
জেমস থার্বার
অনেকেই বলেছেন, নিঃশর্ত প্রেম পেতে হলে, কুকুর পোষা-ই একমাত্র উপায়। কুকুর কেন তার নিঃশর্ত ভালবাসা খামকা অন্য স্পিশিসের সদস্যকে দিল, আর সহ-কুকুরকে দিল ঘ্যাঁকঘ্যাঁক বদমেজাজ, তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাননি। এক সায়েব বলেছেন, স্বর্গ যদি সত্যিই ভাল জিনিসের আড়ত হয়, নির্ঘাত সেখানে তিনি পোষা কুকুরটিকে নিয়ে যেতে পারবেন। এই জন্যেই বলে মহাভারতের ট্রান্সলেশন দরকার, সেটি পড়লেই বোঝা যেত মহাপ্রস্থান রোডের শেষে স্বর্গের স্নিগ্ধ গেটে একটিই কাঠখোট্টা সাইনবোর্ড: ‘ডগি নিষেধ!’
প্রঃ কুকুর হওয়ার সুখ কী?
গর্গরেফ: খাবারের জন্য পরিশ্রম নেই! হয় প্রভু খেতে দেবে, নয় ডাস্টবিনে খাবার ডাঁই। তুলনায় বাঘের জীবন কী দুঃখময়! দৌড়োও, লাফাও, জেতো!
প্রঃ আর দুঃখ?
গর্গরেফ: উচ্চম্মন্য প্রাণীর সামনে সঙ্গম করতে হয়। যৌনতার ডিগনিটিটা কমে যায়। লোফারের ইটও খেতে হয় যৌনাঙ্গে।
প্রঃ কুকুর চাঁদের দিকে তাকিয়ে কাঁদে কেন?
গর্গরেফ: ভাবে, আহা, এমন ল্যাম্প, আর তার পোস্টে হিসি কত্তে পেলুম নে! |
|
|
আপনিও লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের একটা রিপোর্ট? ঠিকানা:
টাইম মেশিন,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|