ছিনতাইয়ের চেষ্টা সল্টলেকে। পুলিশ জানল লন্ডন থেকে। তা-ও আবার ২৪ ঘণ্টা বাদে।
এর পরেই শুক্রবার এইচএ ব্লকের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ার বাড়ি এসে অভিযোগ লিখে নিল বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ।
এইচএ ব্লকের ওই বাসিন্দার ছেলে থাকেন লন্ডনে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রৌঢ়া জানান, থানায় ফোন করে লাইন না পেয়ে লন্ডনপ্রবাসী ছেলেকে ফোনে তিনি সব জানান। ছেলে কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট ঘেঁটে লালবাজার কন্ট্রোলরুমে ফোন করেন।
কিন্তু সল্টলেক বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত। তাই লালবাজার থেকেই বিধাননগর পুলিশকে জানানো হয়। প্রৌঢ়া পুলিশে অভিযোগ করেন, স্থানীয় আইএ মার্কেট থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে এক যুবক তাঁর সঙ্গে কথা বলে। পরে একটি ব্যাঙ্কের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক মোটরবাইক সওয়ারির সঙ্গে কথা বলে সে। পার্কের রাস্তা ধরে ফেরার সময়ে ওই যুবক প্রৌঢ়ার হার ধরে টান মারে। ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। সামান্য আহতও হন। সে সময়ে অন্য এক মহিলা ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে হার ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী।
পুলিশে অভিযোগ জানালেও দুষ্কৃতী ফের বাড়ি চিনে হামলা চালাতে পারে মনে করে আতঙ্কিত প্রৌঢ়া নাম-পরিচয় না ছাপতে অনুরোধ করেন। পুলিশ খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে প্রৌঢ়াকে আশ্বাস দেয়। কিন্তু সল্টলেকে পর পর ছিনতাইয়ের ঘটনা অব্যাহত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অধরা দুষ্কৃতীরা। এক পুলিশকর্তার দাবি, সল্টলেকে নজরদারি ব্যবস্থা আগের থেকে মজবুত হয়েছে। কিছু ছিনতাইচক্র ধরাও পড়েছে। সিসি টিভি, প্রবেশপথে তল্লাশি, সাদা পোশাকে পুলিশি নজরদারির মতো বিভিন্ন পরিকল্পনা কার্যকর হলেও এখনও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। |