উৎপাদন বাড়াতে আগামী তিন বছরে ২০ কোটি টাকা লগ্নি করবে জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (জেএসপি)। এ কথা জানিয়ে ডিরেক্টর ভি কে মেটা বলেন, ওই সময়ের মধ্যে ইস্পাত উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে বছরে ১.২০ কোটি টন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁদের।
সম্প্রতি টিএমটি বারের খুচরো বিপণনও শুরু করেছে নবীন জিন্দল গোষ্ঠীর এই সংস্থা। মেটা জানান, দেশে ৪০ জন ডিস্ট্রিবিউটর ও ১ হাজার ডিলারের মাধ্যমে ‘জিন্দল প্যান্থার’ ব্র্যান্ডের টিএমটি বার বিপণন করা হবে। ঝাড়খণ্ডের পত্রাতুর ইস্পাত কারখানাতেই মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা তৈরি করা হবে।
পাশাপাশি, আয় বাড়াতে দামি বা ‘ভ্যালু আডেড’ ইস্পাত পণ্য তৈরির উপরেও জোর দেবে জেএসপি। মেটা বলেন, “ইস্পাতের মূল্যবৃদ্ধি নির্ভর করছে বাজারের উপর। আমরা প্রয়োজন হলেও অনেক সময়েই দাম বাড়াতে পারি না। এই অবস্থায় আয় বাড়ানোর জন্য ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য তৈরির উপর জোর দেব। ওই ধরনের পণ্য বিক্রিতে মুনাফা বেশি থাকবে বলে আমাদের ধারণা।”
ভারতে উইন্ডমিলের ব্লেড বা দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের জন্য রেল লাইন তৈরি করতে বিশেষ ধরনের ইস্পাতের প্রয়োজন হয়। তার সিংহভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ভারতে ওই সব পণ্য তৈরি হলে ভাল দামে তা বিক্রি করা সম্ভব। মেটা বলেন, “ওই সব পণ্য আমদানি করতে যে খরচ পড়ে তার থেকে অনেক কম দামে তা বিক্রি করতে পারব। উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে যে ফারাক থাকবে, তাতে ভাল মুনাফা করা সম্ভব।”
ব্যবসা বাড়ানোর যে-পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেএসপি, তার অঙ্গ হিসেবে পুরনো কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, গড়া হবে একাধিক নয়া কারখানাও। ওমানে সংস্থার ইস্পাত কারখানার উৎপাদন ক্ষমতাও বছরে ২০ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ টন করার পরিকল্পনা আছে। মেটা জানান, ২০২০-এর মধ্যে জেএসপিকে বার্ষিক ১ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের সংস্থায় পরিণত করাই তাঁদের লক্ষ্য। এখন সংস্থার মোট আয় বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা। |