টুকরো খবর
পূর্বস্থলীর সব্জি বাজারে আগুন

পোড়ার পরে।—নিজস্ব চিত্র।
আগুনে পুড়ে গেল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাড়ুলিয়ার অস্থায়ী বাজারের সব্জি আড়তদারদের ৮টি দোকান ও একটি লেপ তোশকের দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত ১১টা নাগাদ। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাড়ুলিয়া গ্রামের দু’দশকের বেশি পুরনো সব্জি বাজারে সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পাশের একটি জায়গায় উঠে এসেছেন। বর্তমানে সেখানে ২৮ জন সব্জি আড়তদারের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের গুদামও রয়েছে সেখানে। এই অস্থায়ী বাজারেই আগুন লাগে গতকাল রাতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। প্রাথমিক ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দমকল চলে যাওয়ার পর ভোরের দিকে ফের আগুন লাগে। ফলে ফের ঘটনাস্থলে আসে দমকল। স্থানীয় ও আড়তদাররা জানিয়েছেন, অস্থায়ী বাজারের পাশে দু’টি ট্রান্সফর্মারে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেই আগুন লাগে। পুড়ে গিয়েছে মজুত থাকা সব্জি, লেপ ও নগদ টাকা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

নতুন করে সাজবে মন্দির
ঢেলে সাজানো হচ্ছে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দির। মন্দির উন্নয়নে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দফতর। টাকার একাংশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জেলা প্রশাসনের হাতে। সাত দিনের মধ্যে উন্নয়নের কাজে কত টাকা খরচ হবে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাস্ট বোর্ডকে। শুক্রবার সর্বমঙ্গলা মন্দির চত্বরে এ নিয়ে এডিএম উন্নয়ন প্রণব বিশ্বাস ট্রাস্ট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সর্বমঙ্গলা ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক আশিস দাশগুপ্ত জানান, আপাতত মন্দিরের যাত্রী নিবাসটিকে বড় করে তৈরি করা হবে। মূল ফটকের কাজও অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। সেটিও সম্পূর্ণ করা হবে। মন্দির চত্বর প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হবে। তৈরি করা হবে সুলভ শৌচাগার। মন্দিরের সামনের সমস্ত দোকানকে সরিয়ে পাশের একটি জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের ভেতরের পার্কটি সুন্দর করে সাজিয়ে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন বলেন, “পর্যটন দফতরের কাছে দীর্ঘদিন আগে সর্বমঙ্গলা ট্রাস্ট বোর্ড মন্দির চত্বর সংস্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ মন্দির পরিদর্শনের পরে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আপাতত শতকরা ৩০ ভাগ অর্থ হাতে এসেছে। সেই টাকা দিয়েই কাজ শুরু হবে।” ১৭০২ সালে স্থানীয় এক ডোবা থেকে দেবী সর্বমঙ্গলার অষ্টাদশভূজা কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার হয়। বর্ধমানের রাজা মহাতবচন্দের আমলে তৈরি এই নবরত্ন মন্দির দেখতে দূরদুরান্ত থেকে মানুষেরা আসেন। কিন্তু শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সঙ্কীর্ণ জায়গায় মন্দিরটি হওয়ায় পর্যটকদের পক্ষে পৌঁছনো সমস্যার। পর্যটন দফতরের উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের খবরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।

পিটিয়ে খুন হাটুদেওয়ানে
পিটিয়ে, থেঁতলে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের হাটুদেওয়ান ডাঙাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম দিলওয়ার শেখ (৪০)। পুরনো রাগের জেরেই এমন খুন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি-ছিনতাই, জোর করে টাকা আদায়-সহ নানা অভিযোগ ছিল। এক সময়ে বর্ধমান থানা তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণপ্রহারের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় দিলওয়ারকে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। স্থানীয় একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, জুয়ার আসরে গোলমাল বাধার জেরেই এমন ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন যুবকের
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন যুবকের। বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে গলসি থানার গলিগ্রামের কাছে জিটি রোডের উপর ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম শিলু বাউরি (৪১), পার্থ পণ্ডিত (২৩) ও সামশের আলি খান (২১)। তিন জনেই গলসির পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলু আউশগ্রামের সরগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মোটরবাইক নিয়ে জিটি রোডে ওঠার সময় কোনও ভাবে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের। বাকিদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে যানটি কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

লক্ষাধিক টাকার জিনিস লুঠ
জিটি রোডের উপরে একটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান থেকে বহু টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ভোরের ঘটনা। বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দু’বছর আগেও ওই শোরুমে চুরি হয়েছিল। নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত তালা ও লোহার গেট লাগানো হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকানের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিনারা না হওয়ায় অপরাধ বাড়ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

ভাঙল প্রাচীন সেতু
ছবি: মধুমিতা মজুমদার।
মাসখানেক ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে বর্ধমান ও হুগলি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বৈদ্যপুরে জামনা সেতুর গার্ডওয়াল। গাঙুর নদীর উপরে এই প্রাচীন সেতু ভেঙে যাওয়ায় বিপর্যস্ত কালনা-গুড়াপ বাস চলাচল। বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, একটি বিশেষজ্ঞ দল সেতুটি পর্যবেক্ষণ করেছে। চেষ্টা চলছে সেতুর পাশ দিয়ে প্রথমে একটি রাস্তা গড়ে পরে সেতুটিকে নতুন করে গড়া।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.