রেল দুর্ঘটনায় মৃত সেনা জওয়ানের দেহ ফিরল বাড়িতে। পুলিশ ও সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার গুজরাতে দুর্ঘটনায় রেজাউল শেখ (২২) নামে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। এ দিন ওই জওয়ানের দেহ পৌঁছয় তাঁর লাভপুরের নবগ্রামের বাড়িতে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে রেজাউল সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তাঁর পোস্টিং ছিল গুজরাতে। ভাল ফুটবল খেলতেন। সেনার দলেও তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন। ঘটনার দিন ওই জওয়ান সেনা বাহিনীর হয়েই ট্রেনে চেপে একটি ফুটবল ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিলেন। সেনা জানিয়েছে, কোনও ভাবে দরজার বাইরে থাকা পোস্টে ধাক্কা খেয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন সকালে সেনার অফিসারেরা তাঁর মৃতদেহ গ্রামে আনেন। পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে রেজাউলকে ‘গার্ড অফ ওনার’ দেওয়া হয়। কোনও কথাই বলতে পারেননি মৃতের শোকস্তব্ধ বাবা জাহেদার রহমান। প্রতিবেশী লিটন খান বলেন, “ছোটবেলা থেকেই রেজাউল খুব ভাল ফুটবল খেলত। গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সক্রিয় ভূমিকা নিত। কয়েক দিন আগেই ইদে বাড়ি ফিরে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা তুলেছিল। তাঁর যে এমন পরিণতি হবে, তা ভাবতেও পারিনি।”
|
বিমা কর্মী রিনা দাস (৪১) খুনের ঘটনায় চন্দন বয়রা নামে সেচ বিভাগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে বৃহস্পতিবার। বুধবার রাতে বোলপুর পুরসভার ভকতভাই রোডের বাসিন্দা রিনাদেবীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতন তদন্তকেন্দ্র লাগোয়া মাঠ থেকে। তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি করে, শান্তিনিকেতনের সীমান্তপল্লির বাসিন্দা, সেচ বিভাগের ওই কর্মী বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিমার কাজ করার সুবাদে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সে কথা পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “চন্দনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।”
|
হেতমপুর রাজবাড়ি লাগোয়া বনবিভাগের জঙ্গলের মধ্যে থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম, শেখ সফিরুল(২২)। বাড়ি হেতমপুরের মুসলিম পাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক বুধবার সকালে কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ পাননি পরিবার ও পড়শিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে কিছু মহিলা একটি গাছের সঙ্গে সরু নাইলন দড়ি বাঁধা অবস্থায় মাটিতে আধশোয়া ভাবে পড়ে থাকতে দেখেন লোকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
আগুনে পুড়ে যাওয়া বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের রসায়নের পরীক্ষাগারের উন্নতির জন্য এক লক্ষ টাকা দান করলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা প্রয়াত প্রবাসী বিজ্ঞানী মানিকেশ্বর গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইরাদেবী। বৃহস্পতিবার ওই অর্থ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধুর হাতে তুলে দেন তিনি।
|
নেতা খুনে অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন লাভপুরে |
এলাকায় দেখতে পেয়েই পিটিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার সকালে লাভপুরের বিপ্রটিকুরি হাইস্কুল এলাকার এই ঘটনায় নিহতের নাম সেন্টু কাজি (৩৪)। বাড়ি স্থানীয় কাশিয়াড়া গ্রামে। এলাকায় তিনি তৃণমূলেরই কর্মী বলে পরিচিত। বীরভূমের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। নিহত যুবক নিজে গত বছর খুন হওয়া তৃণমূলের এক বুথ কমিটির সভাপতি খুনে অভিযুক্ত।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সেন্টুকে ধরে ফেলেন। তারপর তাকে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। ঘটনার পরে নিহতের বাবা দলেরই অপর এক গোষ্ঠীর লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নিহতকে দলীয় সমর্থক বলে জানালেও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “সেন্টু আমাদের দলের কেউ নন। ঠিক কী কারণে তাঁকে মারা হয়েছে, তা পুলিশই বলতে পারবে।” |