জলপ্রকল্পের কাজ শেষের মুখে • কর্মী নিয়োগ হয়নি
সূচনা নিয়ে সংশয়ে পুরসভা
বাসিন্দাদের বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষের মুখে হলেও, কালিয়াগঞ্জে প্রকল্প রূপায়ণ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েই অনিশ্চয়তায় রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। জল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশেরও বেশি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্প নিয়ে পুরসভার সংশয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ৬ মাস আগে সমীক্ষা করে জানা গিয়েছে ওই প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতে অন্তত ৭০ কর্মীর প্রয়োজন। সেই মতো কর্মী চেয়ে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে একাধিক চিঠি পাঠানো হয় বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। এখনও ওই দফতরফ পুরসভাকে সরকারি ভাবে কর্মী নিয়োগ নিয়ে কিছু না জানানোয় জল সরবারহের কাজ কবে থেকে শুরু করা হতে পারে তা স্থির করা সম্ভব নয় বলে পুরসভা জানিয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা অরুণচন্দ্র দে সরকার বলেছেন, “গত ছয় মাসে ৩ বার রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে জল সরবরাহ প্রকল্পে ৭০ জন কর্মী নিয়োগ করার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু ওই দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। তাই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলেও পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না।” যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেছেন, “পুরসভা আমাকে এ নিয়ে কিছুই জানায়নি। তবে সমস্যার কথা যখন শুনলাম, তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব। পুরসভার সঙ্গে কথা বলব।” রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উদ্যোগে ২০০৯ সালে বাসিন্দাদের বাড়িতে পানীয় জল প্রকল্পে জওহরলাল নেহেরু নগরায়ণ প্রকল্প থেকে রায়গঞ্জ পুরসভাকে প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ইতিমধ্যেই শহরের উত্তর চিড়াইল ও ধনকলে দুটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিমুলতলা এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি পুরনো জলাধারকে ভেঙে সংস্কারের কাজ শেষ। প্রতি জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার গ্যালন বলে জানা গিয়েছে। জল সরবারহের জন্য পুরসভা এলাকার মোট ৬০ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, “জল তোলার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাম্প বসানো হয়েছে। ডিসেম্বরের মাসের মধ্যে বাকি ৩২ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজও শেষ হয়ে যাবে।” পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬৫ হাজার বাসিন্দার বাস। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তার ধারে বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ১১০টি ট্যাপকল থাকলেও এত দিন ধরে বাড়িতে জল সরবরহের ব্যবস্থা ছিল না। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা সাংসদ দীপা দাশমুন্সি অবশ্য বলেছেন, “প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে জল সরবরাহের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগী হব।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.