দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে পাঠানো একজন ব্যক্তিকে একটি পদেই বহাল রাখার নির্দেশ আপাতত মানতে রাজি নয় উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস কমিটি। সম্প্রতি, এআইসিসি-র তরফে জেলা কংগ্রেস কমিটির কাছে একটি নির্দেশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, দলের কোনও ব্যক্তি একই সঙ্গে দুটি পদে থাকতে পারবেন না। একজন ব্যক্তিকে একটি পদেই থাকতে হবে। ওই নির্দেশ কার্যকর করা সম্ভব কি না তা ঠিক করতে মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস কমিটির তরফে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। |
রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সির নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত-সহ জেলার বিধায়ক ও নয়টি ব্লকের কংগ্রেস নেতারা। উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারাও। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়। তিনি বলেন, “কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে দলের স্বার্থে কাউকে কোনও পদ থেকে সরানো সম্ভব নয়। উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেস দীপাদেবী ও মোহিতবাবুর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা প্রদেশ কংগ্রেস ও এআইসিসিকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, এআইসিসি-র নির্দেশ জেলায় কার্যকরী হলে মোহিতবাবুকে জেলা কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরতে হবে। কারণ, বিধায়ক মোহিতবাবু রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানের পদে বহাল রয়েছেন। এ ছাড়াও দলীয় পদ থেকে সরতে হবে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণচন্দ্র দে সরকার, ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলি ও রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাসকে।
অরুণবাবু কালিয়াগঞ্জ টাউন কংগ্রেস সভাপতি, কানাইয়াবাবু ইসলামপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি, লিয়াকতবাবু রায়গঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ও রণজবাবু রায়গঞ্জ টাউন কংগ্রেস সভাপতির পদে বহাল রয়েছেন। এ ছাড়া আজ, বুধবার ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা ডালখোলা টাউন কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ গোস্বামীর। সেক্ষেত্রে সুভাষবাবুকেও দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এ দিন বৈঠকের আগে শতাধিক কংগ্রেস কর্মী সমর্থক, কাউন্সিলররা দীপাদেবীর কাছে মোহিতবাবু-সহ কাউকেই দলীয় পদ থেকে না সরানোর আর্জি জানান।
জেলা পরিষদে কংগ্রেস দলনেতা পূর্ণেন্দু দে এ দিন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “দলের সর্বোচ্চ স্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বিধায়ক ও সাংসদরা দলীয় পদে থাকতে পারবেন। তবে দলের কেউ সর্বক্ষণের প্রশাসনিক কোনও পদে থাকলে তবে তিনি দলীয় পদে থাকতে পারবেন না। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলে রদবদল হলে নেতৃত্বের অভাবে দলই দুর্বল হয়ে পড়বে।” |